আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাঁস হওয়া কথিত নথিতে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ আলোচনার বিষয়বস্তু রয়েছে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদেশের ওপর গোয়েন্দাগিরি করেছে। তবে ওই নথিকে অসত্য ও বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
আসলেই নথি ফাঁস হয়েছে কি না নিশ্চিত হতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পেন্টাগন, হোয়াইট হাউস ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিচার বিভাগও এই ফাঁসের ঘটনাটি এখন তদন্ত করে দেখছে। এসব নথি প্রথমে টুইটার ও টেলিগ্রামের মতো আরও কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়। খবর- আল-জাজিরা।
ফাঁস হওয়া নথিগুলোর মধ্যে একটি নথি দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে। তারিখবিহীন ওই নথিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের সঙ্গে শীর্ষ সহযোগীদের মধ্যে কথিত অভ্যন্তরীণ আলোচনার বিষয়টি উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে সিউলকে অস্ত্র দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তাঁদের আলোচনার পর উভয় পক্ষই ফাঁস হওয়া ওই নথির বিষয়টিকে বানোয়াট বলে মত দিয়েছেন। তবে নথির কোন অংশ অসত্য, তা স্পষ্ট করেননি তাঁরা।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা নথিগুলো গত ১৭ ফেব্রুয়ারির। ওই নথি অনুযায়ী, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির দেশটির শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তাঁরা রাশিয়াকে রকেটের পাশাপাশি কামানের গোলা ও বারুদ সরবরাহের বিষয়েও আলোচনা করেন।