
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা): আশাশুনি সরকারি কলেজে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষা বর্ষের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় কলেজ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আশাশুনি সরকারি কলেজের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ নজরুল ইসলাম। প্রভাষক জহুরুল ইসলাম ও প্রভাষক শিরিন বাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে পুস্প তুলে দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। নবীন বরণ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও কলেজের শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক প্রভাষক আলহাজ্ব ছহিল উদ্দীন, সদস্য প্রভাষক পেয়ারা পারভিন, প্রভাষক জাকির হোসেন ও প্রভাষক গোলাম কবিরের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রভাষক সজল কুমার আঢ্য, মেজর এছাহক আলী, প্রভাষক আব্দুল মালেক, কলেজের প্রাক্তন ছাত্রনেতা ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুজ্জামান সবুজ, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শোভন আলী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নাবিল আহমেদ, কলেজ ছাত্র শিবির সভাপতি ওলি উল্লাহ গগাজী, দপ্তর সম্পাদক রেজওয়ান আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সবশেষে উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রভাষক আলহাজ্ব ছহিল উদ্দীন নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সমাপনী কথা বলেন।
আশাশুনিতে আওয়ালীগ নেতা মেম্বার গফফারকে গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন: আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের মেম্বার আঃ গফফারকে গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার বিকাল ৫ টায় আশাশুনি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগি গোলাম মোস্তফা।
শোভনালী ইউনিয়নের বাঁকড়া গ্রামের মৃত আঃ জলিল সরদারের ছেলে গোলাম মোস্তফা লিখিত বক্তব্যে জানান, আমার পিতা ২০০০৫ সালে নিখোজ হয়ে যায়। আমি তখন ৭ম শ্রেণিতে পড়তাম। আমরা ২ ভাই ও ৩ বোন। আব্বা মৃত্যুর সময় ৪০ বিঘা জমি রেখে যায়। সেই থেকে আমরা জমিতে মাছ চাষ ও কিছু জমি হারী দিয়ে ভোগজাত করে আসছি।আমার একটি মুরগির খামার আছে। বৈধ আয়ে আমি সংসার নির্বাহ করি। আমি রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নই। ২০০৬ সালে সাড়ে ৬৭ শতক জমি ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইউপি সদস্য আব্দুল গফফারের কাছে হারি দিয়েছিলাম। হারি নেওয়া জমি গফফার গোপনে গোপনে ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের কাছে হারী দেয়। আমরা জানতে পেরে ফিরিয়ে নিতে গেলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দেয়নি। আমরা আওয়ামী দুঃশ্বাসনের সময় ও ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত জমি দখল করতে পারি নাই। এপ্রিল মাসে ইউনিয়ন বিএপির সাবেক আহবায়ক আহসান হাবিব ও সাবেক সদস্য সচিব জুলফিকার আলী ভুট্ট’র কাছে অভিযোগ করলে তারা সালিশের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের জমি বের করে দেন। এই জমি বের করা পর্যন্ত তারা বা কেউই আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অনিয়ম, দূর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করেনি। উদ্ধারকৃত জমি মোঃ তোতা সরদারের কাছে ১৩/০৫/২৫ তারিখ ডিড প্রদান করি। ডিডের স্বাক্ষী সাবেক মেম্বর ওহাব আলী সরদার, মেম্বর আঃ গফফার ও কবির আহম্মেদ। কিন্তু তোতা সরদার ডিডের স্বাক্ষী মেম্বর আঃ গফফারের কাছে এই জমির ডিভ দিলেরদ মেম্বার জমির বাঁধ কেটে তার ঘেরের সাথে একাকার করে নিয়েছে। আমি মেম্বরকে জমি ছেড়ে দিতে বললে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মেম্বর ও তার সহযোগিরা আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার ও চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকী দিয়েছে। এমনকি গফফার ও সাজ্জাদের কমিটিতে কৌশলে আমার নাম বসিয়ে আমাকে আওয়ামীলীগার বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি যদি তাদের কমিটির সভাপতি থাকতাম এবং এমপি রুহুল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাহেবের সাথে সম্পর্ক থাকতো তাহলে তারা কিভাবে আমার জমি জবর দখল করে নিলো।
মেম্বর গফফার আওয়ামীলীগের সক্রীয় নেতা। এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতির সাথে মেম্বর গফফারের বহু ছবি রয়েছে। আমার কোন ছবি কি তারা দেখাতে পারবে? আমি আওয়ামীলীগের আমলে তাদের দারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমার কোন দাপট তখনও ছিলনা, এখনও নেই। অথচ তারা আমাকে জড়িয়ে অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অপ-প্রচার চালাচ্ছে। এব্যাপারে তিনি সঠিক তথ্য প্রচার ও প্রশাসনের কাছে আওয়ামীলীগ নেতা আঃ গফফারের কর্মকান্ড তদন্ত করে গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
আশাশুনি আলিম মাদ্রসায় আলিম ক্লাশের ছবক উদ্বোধন: আশাশুনি আলিম মাদ্রাসায় আলিম এর ছবক উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসা হল রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন (ভার্চ্যুয়ালী), বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মোঃ নূরুল হক। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. আবুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান, একাডেমীক সুপার ভাইজার মোঃ হাসানুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক স ম হেদায়েতুল ইসলাম, জামায়াতের নায়েবে আমীর নূরুল আফসার মোরতাজা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বসুখালী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ নজরুল ইসলাম, শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষক মোস্তাহিদুর রহমান, কম্পিউটার শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলে নবীন বরণ অনুষ্ঠান: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে কলেজ হল রুমে অনুষ্ঠানের শুরুতে নতুনদের ফুলদিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষকবৃন্দ।
অধ্যক্ষ মোহিত কুমার দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষকমন্ডলী, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি এসকে হাসান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ আনারুল ইসলাম (আশাশুনি উপজেলা ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি), আশাশুনি প্রেসক্লাবের সদস্য বাবুল হোসেন, ইয়াসিন আরাফাত (পিন্টু) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নওয়াপাড়া ঢালিবাড়ি জামে মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী( সা:) পালন : আশাশুনি উপজেলার নওয়াপাড়া ঢালী বাড়ি জামে মসজিদে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) পালিত হয়েছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি হাফেজ মোঃ আছাফুর রহমানের সঞ্চালনায় ও মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, ফুরফুরা দরবার শরীফের খাদেম মাওঃ মনিরুজ্জামান হেলালি। অনুষ্ঠানে মাওঃ আব্দুস সাত্তার, মাওঃ মোঃ আইয়ুব আলী, মাওঃ জিয়াউল ইসলাম, হাফেজ ফজলুর রহমান, মাওঃ রবিউল ইসলাম, ক্বারী সৈয়দ আলী, আব্দুল আনিস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের শুরা ও কমপরিষদ সদস্য সাতক্ষীরা জজ কোটের এপিপি এড. শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বুধহাটা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওঃ আব্দুল ওয়াদুদ।
বুধহাটার নওয়াপাড়া ওয়ার্ড জামায়াতেরর কর্মীসভা: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের ৪ নং নওয়াপাড়া ওয়ার্ডের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ মো: আছাফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মাওঃ জিয়াউল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ইউনিয়ান আমির মাওঃ আব্দুল ওয়াদুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা যুব বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে মাওঃ আসলাম হোসাইন, খালিদ হোসেন, হাফেজ ফজলুর রহমান, বারিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম বাবু যুব বিভাগের নওয়াপাড়া ওয়ার্ড সভাপতি মাকফুর রহমান, ইসলামী ছাত্র শিবিরের ওয়ার্ড সেক্রেটারি শাওন হোসেন প্রমুখ আলোচনা রাখেন। অনুষ্ঠানে জামায়াতের যুব বিভাগ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, উলামা বিভাগ ও ছাত্রশিবিরের কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।