আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি সরকারি কলেজে আত্তীকরণ বিধিমালায় আরও ৫ শিক্ষককে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ সচিবালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব রোকেয়া পারভিন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ করেন। প্রজ্ঞাপনে জানা গেছে, সরকারিকৃত আশাশুনি কলেজে বেসরকারি আমলে কর্মরত ৪ শিক্ষককে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা মোতাবেক সরকারি করণের তারিখ হতে উক্ত কলেজে বর্ণিত পদে বিভিন্ন শর্তে রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন, মুহাম্মদ আব্দুস সবুর (উপাধ্যক্ষ, নন ক্যাডার প্রশাসনিক), শিরিন বাহার (প্রভাষক, নন ক্যাডার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), সুলতানা তুরিনাজ পারভিন (প্রভাষক, নন ক্যাডার গণিত), মো. হাফিজুল ইসলাম (প্রভাষক, নন ক্যাডার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) ও উম্মে হাবিবা নাছরিন জাহান (প্রভাষক, নন ক্যাডার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি)। উল্লেখ্য, কলেজটি সরকারি করণের পর থেকে এ পর্যন্ত এনিয়ে ৬৩ জন শিক্ষক ও কর্মচারীকে রাজস্ব খাতে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এখনো ৬ জনের নিয়োগ আটকে আছে পদ সৃজনের অপেক্ষায়। তৎকালীন অধ্যক্ষ রুহুল আমিন পরিচালনা কমিটি, শিক্ষকমন্ডলী ও হিতাকাংক্ষীদের সহযোগিতায় কলেজের কল্যাণে কলেজটি সরকারি করণের কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হন। তিনি অবসর গ্রহনের পর কলেজে দায়িত্বে আসা অধ্যক্ষেরর অদূরদর্শিতার কারনে কলেজের অগ্রযাত্রা থমকে যায়। অস্থিরতার মধ্যে কলেজ খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলার পর তিনি বদলী হয়ে গেলে আশীর্বাদ হয়ে নতুর অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ যোগদান করেন। ফিরে আসে কলেজের চাঞ্চল্যতা। উচ্ছ্বাস ও শনৈঃ শনৈঃ উন্নয়নের মধ্যদিয়ে কলেজের সার্বিক চিত্রে অভাবনীয় পরিবর্তনের সমারোহ ঘটে যায়। কয়েক মাসের মধ্যে কলেজ ও ক্যাম্পাসে আমুর পরিবর্তন ও শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি-উন্নতি প্রশংসনীয় পর্যায়ে উপনীত হয়। শিক্ষকদের মধ্যে সুশৃংখলতা দর্শনীয় পর্যায় গিয়ে পৌছে। অধ্যক্ষের দুরদর্শী পদক্ষেপে আটকে থাকা শিক্ষকদের আত্তীকরন বিধিমালার আলোকে রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্তির স্পর্শ পেতে সক্ষম হন অনেকে। এরপর ক্রমে ক্রমে এই সংখ্যা এগিয়ে চলেছে। আর মাত্র ৬ জনের পদ সৃজন সম্ভব হলে কলেজের শিক্ষক ককর্মচারীরাদেরকে যে দুষ্ট জালে জড়ানো হয়েছিল তার পরিসমাপ্তি ঘটবে।