আশাশুনি ব্যুরো ঃ আশাশুনি উপজেলার মানিকখালি ব্রিজ হতে বড়দল পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুরাবস্থা চরম আকার ধারন করেছে। সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রী সাধারণের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রোর্ডস এন্ড হাইওয়ে সড়ক দিয়ে পাইকগাছা, কয়রা, তালা, শ্যামনগর, দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার বাস, মালবাহী ট্রাক, প্রাইভেট, মাইক্রো, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ইঞ্জিনভ্যান, নসিমনসহ ছোটখাট যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়কের ফকরাবাদ গার্লস হাই স্কুলের সামনে, জামালনগর ফুলতলার সামনে, ফকরাবাদ পাউয়ার হাউস ও বুড়িয়া হাসপাতালের কাছে রাস্তার অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে পিচের ব্যবহারে সংস্কার না করে পিচের রাস্তার উপরে ইট দিয়ে কোনরকমে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে সড়কে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কার না করলে চলতি বর্ষা মৌসুমের শেষ পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করা সম্ভব হবেনা বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাস স্ট্যান্ডের স্টার্টার আকরাম হোসেন জানান, মানিকখালী ব্রিজ টু বড়দল সড়কের অসংখ্য স্থানে ছোটবড় অগণিত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাস চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ধাক্কা এবং ইটের খোয়া লেগে বাসের গ্লাস ভেঙে যাচ্ছে।
রাস্তার পাশে বসবাসকারী সুব্রত মন্ডল ও ভগিরথ মন্ডলসহ কয়েকজন পথচারী জানান, প্রতিনিয়ত এখানে বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এমন কোন দিন নেই যাত্রীদের মাথায় পানি ঢালতে হয় না।
ফকরাবাদ গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সনাতন বৈরাগী জানান, বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় বড় ধরনের গর্ত হয়ে প্রতিদিন গাড়ির জ্যাম লেগে থাকে। বিদ্যালয়ের ১৩২জন ছাত্রীর পাঠদানে অসুবিধা হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাস এবং মালবাহী ট্রাক জ্যাম লেগে বিদ্যালয়ের প্রাচীরে ধাক্কা লাগে। এতে যেকোন মুহূর্তে বিদ্যালয়ের প্রাচীর ভেঙে যেতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি। ফকরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিতা মন্ডল জানান, আমার বিদ্যালয়ে ২০০ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, এর মধ্যে ১৭০ জন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। স্কুলে যাতায়াতের পথে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না করলে অল্প কিছু দিনের মধ্যে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বলেন, বৃষ্টির কারণে অনেক স্থানে রাস্তা গর্তে পরিণত হয়েছে আমি জানতাম না। আপনি বলেছেন, আজই লোক পাঠানো হবে এবং দুই-তিন দিনের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।