আশাশুনি ব্যুরো: মিথ্যা অভিযোগ এনে মান সম্মানহানি, সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও রাজনৈতিক ঐতিহ্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি নেতা শওকত হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, আনুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বিছট বাজার কমিটির সভাপতি শওকত হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, ৫ আগষ্টের পর থেকে আমরা এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে আসছি। কিন্তু সোমবার বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে আমার ও আমার ছোট ভাই মোঃ সিদ্দিককে জড়িয়ে নানা মিথ্যা ও অপমান জনক খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরে বিছট গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রশিদুল আলমের বরাত দিয়ে তার গরুর খামার লুট, ৩০০ বিঘা মাছের ঘের কেড়ে নেয়া, ৩০ বিঘা জমির ধান কেটে নেয়া, বর্গাদারদের থেকে ৫০০০ টাকা করে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ রশিদুল আলমের কোন মৎস্য ঘের নেই, পূর্বেও ছিলনা, গরুর খামার নেই ও ছিলনা, ৩০ বিঘা জমিতে ধান চাষের কথা বললেও তার ৩০ বিঘা জমিই নেই এবং কোন লুটের ঘটনাও ঘটেনি। তিনি একজন ভূয়া ডাক্তার ও ভূয়া কবিরাজ। তিনি তার বাড়ির ক্লিনিকে রোগী দেখে, এক্সে করেন। বহু রোগী তার দারা প্রতারিত হয়েছে। আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। তাকে নামাজে যেতে কেউ কোনদিন বাধা দেয়নি। আমি নিজে তার কাছে বাগদা রেনু বিক্রয়ের ৩৭০০০ টাকা পাব। মৌখিক বহু প্রমান ও স্বাক্ষী আছে। তার ছেলে আওয়ামীলীগের নেতা ছিল বিধায় ক্ষমতা দেখিয়ে টাকা দেয়নি। আমি থানার OC বরাবর দরখস্ত করেছিলাম। কিন্তু থানায় তাকে ডাকা হয়নি। তিনি ২০ বছর আগে স্থানীয় ঋষিদের মেয়ে বিয়ে করেছিল। তার গর্ভে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার পর তার ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও তৎকালীন UP চেয়ারম্যান লিটন এর ক্ষমতার দাপটে সেই স্ত্রী ও সন্তানকে জোর পূর্বক ভারতে পঠিয়ে দিয়েছিল। আমার একটি গার্মেন্টস সহ কাপড়ের দোকান বিছট বাজারে ছিল। ২০১৪ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে আমার কাছে চাঁদা চায়, না দেওয়ায় বাপ বেটার নেতৃত্বে লুটপাট করে। আওয়ামীলীগের আমলে ক্ষমতা ব্যবহার করে ৩ বিঘার উর্ধে খাসজমির লোক বসতি উচ্ছেদ করে সেখানে দুই তলা বিল্ডিং ও পুকর তৈরী করে অবৈধভাবে দখল করে আসছে। তাদের অত্যাচারে ইউনিয়নের অনেক লোক ইউনিয়ন ছাড়া হয়েছিল। এলাকার লোকজন তার প্রমান দিবে। আমি এই অবৈধ কাজের বাধা প্রদান করতাম যার কারনে আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে আমার এবং আমার পরিবারের সম্মান হানির চেষ্টা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক রুহুল কুদ্দুছ বলেন, ৫ আগষ্টে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে লুটপাট হয়। আমরা যথাসাধ্য ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে চেষ্টা করি। লুটপাটের সাথে প্রকৃত যারা জড়িত তাদের নাম প্রকাশ করতে তিনি ভুক্তভোগিদের কাছে দাবী জানান। তাদের সাক্ষাৎকার না নিয়ে ভুয়া অভিযোগ এনে অপপ্রচারের ঘটনার তিনি তীব্র নিন্দা জানান। ব্যবসায়ী ওমর ফারুক তুহিন, ব্যবসায়ী শাহিনুর বলেন, চেয়ারম্যান কুদ্দুছ ও শওকত ভাই আমাদের পাশে ছিলেন। আমাদের রক্ষা করতে চেষ্টা করেন। তারা কোনভাবেই লুটপাট, ভাংচুরের সাথে ছিলেননা। তাদের সহযোগিতা পেয়ে আমরা ব্যবসা করতে সাহস পাচ্ছি। রশিদুলের চাচাত ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, রশিদের ঘের ছিলনা, তার নিজের ৩০ বিঘা জমি নেই, কোন গরুর ফার্ম ছিলনা, তার বউমার ২/৪ টা গরু ছিল।