আশাশুনি প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন-২০২৫ কে ঘিরে এখন উপজেলার সাংবাদিক মহলে বিরাজ করছে এক প্রাণবন্ত, আনন্দঘন এবং গণতান্ত্রিক উৎসবের আবহ। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী এই প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নির্বাচনকে ঘিরে শুধু সাংবাদিকরাই নয়, স্থানীয় সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনেও তৈরি হয়েছে আগ্রহ ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
৫ নভেম্বর, বুধবার অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। মোট ৬টি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং ৪৯ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. হাসানুজ্জামান, যিনি নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানিয়েছেন— “নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করাই আমাদের অঙ্গীকার। প্রেসক্লাব একটি জ্ঞান ও দায়িত্ববোধের প্রতিষ্ঠান, এখানে গণতন্ত্রের অনুশীলন হোক মর্যাদার সঙ্গে— এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
”সভাপতি পদে: জি.এম. আল ফারুক, এস.এম. আহহান হাবিব, এস.কে হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে: মো. আব্দুল আলীম, মোঃ আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক পদে: সমীর রায়, আকাশ হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে: সুব্রত দাস, ইসমাইল হোসেন লিংকন, শেখ ইয়াছির আরাফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে: জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে: এস.এম. মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ ইয়াছিন আরাফাত পিন্টু।
প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, প্রচারণামূলক লিফলেট ও সৌজন্য সাক্ষাৎকারে এখন মুখর আশাশুনি প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ। প্রার্থীরা ভোটারদের সাথে যোগাযোগ রেখে তুলে ধরছেন তাঁদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা— কেউ সাংবাদিকদের কল্যাণ তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, কেউ বা প্রযুক্তিনির্ভর সাংবাদিকতা উন্নয়নের উদ্যোগের কথা বলছেন।এক প্রবীণ সাংবাদিক বলেন, “আশাশুনি প্রেসক্লাব কেবল একটি সংগঠন নয়, এটি আমাদের চিন্তা, চেতনা ও দায়িত্ববোধের প্রতীক। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা চাই ক্লাবটি আরও সমৃদ্ধ হোক, সাংবাদিকতার মর্যাদা আরও প্রতিষ্ঠিত হোক।”
প্রেসক্লাবের তরুণ সদস্যরাও এবার বেশ সক্রিয়। তাঁরা বলছেন, “আমরা চাই এমন নেতৃত্ব, যারা অভিজ্ঞতা ও নতুন চিন্তার সমন্বয়ে আমাদের সংগঠনকে এগিয়ে নেবে। সাংবাদিকতার সুনাম, সততা ও পেশাগত ঐক্য বজায় রাখাই এখন সময়ের দাবি।”নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেমন তীব্র হচ্ছে, তেমনি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশও রক্ষিত থাকছে। প্রার্থীরা একে অপরের প্রতি সৌজন্য দেখাচ্ছেন, একসঙ্গে বসে চা খাচ্ছেন, হাসিমুখে কথা বলছেন— যেন সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির এক অনন্য উদাহরণ।স্থানীয় গণমাধ্যমের সদস্যরা মনে করেন, নতুন নেতৃত্ব শুধু সংগঠন পরিচালনা করবে না, বরং সাংবাদিকতার মানোন্নয়ন, তথ্যের স্বাধীনতা, এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনেকেই আশা করছেন, নির্বাচিত কমিটি ক্লাবের অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, সাংবাদিক কল্যাণ ফান্ড এবং নৈতিক সাংবাদিকতা চর্চায় বিশেষ মনোযোগ দেবে। ভোটাররা বলছেন— তাঁরা চান এমন নেতৃত্ব, যারা ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আশাশুনি প্রেসক্লাবকে করবে ঐক্য, সততা ও অগ্রগতির প্রতীক।