সচ্চিদানন্দদেসদয়: আশাশুনির প্রতিটি বাজার,ফুটপথের দোকান,অভিজাত বিপনী সর্বত্র এখন পলিথিনে ঠাসা।পরিবেশ অধিদফতরের অভিযান না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়ছ্।েআইন উপেক্ষা করে প্রকাশ্যেই বিক্রিতারা পলিথিন ব্যবহার করছেন।এমন কি অনেক ক্রেতা আইন আমলে না নিয়ে পণ্য ক্রয়ের সময় বিক্রেতার কাছে পলিথিনের ব্যাগ চাইছেন।ফলে আশাশুনির রাস্তা ঘাট,অলিগল,ডোবানালা,ড্রেন নর্দমা এখন ফেলে দেওয়া পলিথিন ব্যাগে সয়লাব্।একটু বৃষ্টি হলেই পানির প্রবাহ পথ আটকে গিয়ে তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।পরিবেশবিদদের মতে,যত্রতত্র পলিথিন ফেলার ফলে মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পানি মাটি ও বাতাস মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে চর্মরোগে।এ ছাড়া পলিথিনের অবাধ ব্যবহারের কারনে ড্রেনেজ ও পয়ঃনিষ্কান ব্যবস্থা দারুন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একজন মাছ ও মাংস ব্যবসায়ী বলেন,ক্রেতারা মাছ মাংস কেনার পর তা পলিথিনের ব্যাগে করেই বাড়িতে নিয়ে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।এজন্য আমরা পলিথিনের ব্যাগে মাছ মাংস বিক্রয় করি।সবজি বিক্রেতারা জানান,এখন আর কোন পুলিশি ঝামেলা নেই।সেকারনে পলিথিন ব্যাবহারের কোন সমস্যা হয় না।দেশে আইন করে পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগ সংস্থার নিষ্ক্রিয়তার কারনে আশাশুনির সর্বত্র পলিথিনের সয়লাব বলে অভিযোগ রয়েছে।পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের কর্মী মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন,আশাশুনির খুচরা বাজারে পলিথিনের ব্যবসা জমজমাট।মাছ বাজার,কাঁচাবাজার থেকে শুরু কওে মুরগি বিক্রেতা সবাই তো পলিথিন ব্যবহার করেন।কোন বাঁধা নেই।কোন বাজার পলিথিন মুক্ত নয়। পরিবেশ বাদি ও মানবাধিকার কর্মী গৌতম ব্যানার্জী বলেন,আশাশুনির এমন কোন বাজার নেই যে যেখানে প্রকাশ্যে পলিথিন এর ব্যবহার নেই।পরিবেশ দূষনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।অপচনশীল এ পদার্থ, পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করছে।ফলে মাটি পানি দূষিত হচ্ছে।তিনি বলেন, অপচনশীল এ পদার্থ পরিবেশের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করছে।ফলে মাটি পানি দূষিত হচ্ছে।বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালানোর পাশাপাশি পলিথিন প্রস্তত কারী কাবখানায় উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।