মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফিজ: আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের কলিমাখালী গ্রামের হাকিম মাস্টারের পুত্র কাজল মাস্টার ও কামাল কর্তৃক পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদ করায় জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ও ন্যাক্কারজনক ভাষা (যেটা উল্লেখ করা সম্ভব হল না) ব্যবহার করে কটুক্তি করার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪.৩০ টায় মাড়িয়ালা মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: আ ফ ম রুহুল হক এর প্রতিনিধি ও আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিত মন্ডল, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ঢালী শামসুল আলম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার বৈদ্য। এ প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার জোয়ার্দার আমির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম বারী, মুক্তিযোদ্ধা মহাসিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মোড়ল,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম বুলু, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রাজেন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক তপন স্বর্ণকার, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার,৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ মন্ডল, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সাঈদ মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ মল্লিক, ইউপি সদস্য দিবাকর সেন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মুকুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, ইউনিয়ন তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত পরাগ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরশাদ আলী, সহকারি শিক্ষক শামিমুজ্জামান পলাশ,সহকারি শিক্ষক সৌমিত্র কুমার বাপ্পীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রতিবাদ সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্যে অভিযুক্ত কাজল মাস্টার ও কামালকে তাদের আত্মসাৎকৃত অর্থ ভুক্তভুগী পরিবার গুলোর হাতে ফেরত দেওয়ার আহব্বান জানান। এর আগে ভুক্তভুগী পরিবার গুলোর পক্ষে কলিমাখালী গ্রামের সুকুমার মন্ডলের স্ত্রী অপর্ণা মন্ডল ৪০০০ টাকা, কামাল সরদার ৫০০০ টাকা, মান্নান মোল্যা ২২০০ টাকা, ইকবাল গাজী ১৫০০ টাকা, জালাল মোল্যার স্ত্রী ৯০০ টাকা সহ এলাকার বহু পরিবার তাদের দুই ভাইয়ের কাছে পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ দেওয়ার নামে টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পল্লী বিদ্যুতের নামে অর্থ আত্মসাত সহ সনাতন ধর্মালম্বীদের জমি জবর দখল, মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর, মৎস ঘেরে পানি দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত সহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় থেকে এ সকল অপকর্মগুলো করে বেড়াচ্ছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি।এ ব্যাপারে কামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।