
★ পিআইও বলেন, একবার নিউজ করলেও যা দু’বার নিউজ করলেও তাই
★ তদন্ত তো একবার হয়েছে, আর হবেনা!
আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইটের ব্যবহার ও ঢালাই কাজ অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পিআইও আমিরুল ইসলাম বলেন, একবার নিউজ করলেও যা দু’বার নিউজ করলেও তাই, তদন্ত তো একবার হয়েছে, আর হবেনা।
২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫৫ শতক
বিলান জমি অধিগ্রহণ করে ২০২৫ সালের প্রথম দিকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম এর তত্বাবধানে কাজ শুরু করা হয়। সরকারি ভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য বিনামূল্যে জমি সহ উপহারের ১৮ টি ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়। অভিযোগ হলে কয়েকদিন ভাল ইট ব্যবহার ও রিজার্ভ রাখা হয়। পরবর্তীতে আবার নিম্নমানের ইটের কাজ করা হয় জানান স্থানীয়রা। সরোজমিনে যেয়ে দেখা যায় ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ঘরের গাঁথুনির কাজে নিয়োজিত থাকা মিস্ত্রীরা কুল্যার আখি ব্রিকসের নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করছে। কিন্তু সে ইট ছিলো নিম্নমানের।পাশে চলছিলো বিম ঢালাইয়ের কাজ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও আমিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে কাজ হলেও সেখানে কাজ দেখার জন্য ছিলনা অফিসের কোনো লোক। শ্রমিকরা তদারকি ও কৈফিয়ত ছাড়াই ইচ্ছেমত কাজ করছে। একারণে সঠিক পরিমাণে মশল্যা মেশানো হচ্ছে কিনা দেখবে কে? সঠিক উত্তর দিতে পারেনি লিবাররা। সঠিক নিয়মে কাজ হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, অফিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। নিম্নমানের ইট হলে আমরা কি করতে পারি। আমরা দিন মজুর, আমাদের কাজ করার কথা কাজ করছি। আপনারা অফিসের লোকজনের সাথে কথা বলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিষকুড়ের এক ব্যাক্তি বলেন, সরকার পরিবর্তন হলেও কাজের মানের উন্নতি হয়নি। মিস্ত্রীরা কাজ করলেও দেখভালের জন্য অফিসের কোনো লোকজন সেভাবে দেখা যায় না। একারণে সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। স্থানীয়রা ইট হাতে নিয়ে বলেন, এগুলো ১নং ইট হলো কিভাবে? দেড় ২নং ইটই বেশী বলে তারা শনাক্ত করেন।
নিম্নমানের ইটের বিষয়ে আঁখি ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী আজিজ হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, আপনারা ১ নং ইট চিনেন। শুধু শুধু হয়রানি করালেন। নিউজ আগে একবার হয়েছে,আপনারা আবার নিউজ করেন। একবার নিউজ করলেও যা, দুবার নিউজ করলেও তাই। তদন্ত একবার হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় বলেন, এডিসির এভিনিউ মহোদয় এবং আমি সরোজমিনে গিয়েছিলাম। তখন তো ইটের মান ভালো ছিল। আপনি ছবি ভিডিও দেন , আমি বিষয়টা দেখছি। জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ মহোদয় ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।