
আব্দুর রশিদ: আশাশুনির বুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানে প্রতিবন্ধকতায় কাজ শেষ হচ্ছেনা। ফলে ক্লাশ পরিচালনায় ভোগান্তি লেগেই আছে।
উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ১০২ নং বুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। স্থানীয় রাজেন্দ্র মন্ডল, নিরোধ মন্ডল ও সুখেন্দু মন্ডল ১৯৭২ সালে ৫০ শতক ও ২০০১ সালে ৯ শতক মোট ৫৯ শতক জমি স্কুলে দান করেন। বুড়িয়া মৌজায় ০২ নং খতিয়ানে ৩৫ ও ৩৪ দাগে ২.০৬ একর জমির মধ্যে তাদের দানকৃত ৫৯ শতক জমিসহ পাউবোর একোয়ারভুক্ত ২৫ শতক জমিতেই স্কুল পরিচালিত হয়ে আসছে। ৩৫ দাগে ২৪ শতক ও ৩৪ দাগে ১০ শতক জমি স্কুলের নামে রেকর্ড হয়েছে। পুরাতন ভবন ব্যবহার অনুপযোগি হওয়ার পর সর্বশেষ একটি টিনসেড ভবনে স্কুল চলছে। একটি অফিস কক্ষ ও ৩টি অপেক্ষাকৃত ছোট কক্ষে ক্লাস বসছে। কষ্টকর পরিবেশে ক্লাস চালাতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। সরকারি ভাবে স্কুলের নতুন ভবন নির্মান কাজ শুরু হলেও কয়েকজনের প্রতিবন্ধকতায় নির্মান কাজ বন্ধ ও বিলম্বিত হচ্ছে। প্রতিবন্ধকতা শুরু হলেও শিক্ষকদের শিক্ষাদানের পরিবেশ নষ্ট করে আদালতে হাটতে বাধ্য করা হয় ২০০১ সাল থেকে। জমিদাতাদের শরীকের একজন কমুদিনী মন্ডল ২০০১ সালে দেওয়ানী আদালতে দেং ১৪/০১ নং মামলা করেন। এসএ ৫০ দাগে স্কুলের জমির মধ্যে ২১ শতক জমি দাবী করেন তিনি। স্কুল কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাতে একতরফা ভাবে নিজেদের পক্ষে রায় পান তিনি। স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের নামে রেকর্ডভুক্ত সমুদয় জমির খাজনাদি পরিশোধ করে চলতি ১৪৩২ সন পর্যন্ত চেকদাখিলা কেটে ভোগ দখলে আছেন।
প্রধান শিক্ষক এস এম মুরশিদ আলম জানান, তিনি গত ২৬ জুন আদালত কর্তৃক দেং ৫৪/২০০৬ মামলার স্টাটাস্কো নোটিশ প্রাপ্ত হন। নোটিশ পেয়ে গত ২৬/৬/২৫ তাং উপজেলা শিক্ষা অফিসকে লিখিত ভাবে ২৯ জুন বিষয়টি অবহিত করেন। শিক্ষা অফিস লিখিত ভাবে ১ জুলাই উপজেলা ইঞ্জিয়ারকে লিখিত ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জানান। ফলে নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে যায়। একের পর এক মামলা ও প্রতিবন্ধকতার পিছনে ছুটতে ছুটতে প্রধান শিক্ষক যেমন নাজেহাল হচ্ছেন, তেমনি ক্লাশ পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।