মাসুদুর রহমান মাসুদ/লিটন ঘোষ বাপি: "মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না? ও বন্ধু" ভূপেন হাজারিকার এই গানটি যেন বর্তমানে দেবহাটা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জি. এম. স্পর্শের জীবনের মূলমন্ত্র। নিজের দুই মাসের বেতনের অর্থ দিয়ে সাতক্ষীরায় বন্যাদূর্গত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেন মানবতার ফেরিওয়ালা দেবহাটা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মানবতার কল্যাণ ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি জি.এম স্পর্শ।
আজ মঙ্গলবার ও গতকাল সোমবারদু’দিন নিজ বাড়িতে রান্না করা খাদ্য নিয়ে বন্যাদূর্গত আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা ও পুঁইজালা এলাকায় পানিবন্দী সাড়ে পাঁচশত মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরন করেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার পুঁইজালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যা দূর্গত তিনশ’ জনকে এবং গত সোমবার মাড়িয়ালা এলাকায় বন্যা কবলিত দুইশ’ পঞ্চাশ জনের মাঝে রান্না করা খাদ্য সরবরাহ করেন।
এ সময় স্থানীয় শ্রীউলা ইউপি সদস্যা দিপালী রানী সরকার, মানবতার কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রশান্ত সরকার, প্রদীপ, ঠাকুর, অনিস, ডাঃ গোলক, সাগর, বাপ্পি, দিপ্তিময়, অভি, সুজন প্রমুখ তার সাথে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য দেবহাটা উপজেলা মহিরা ভাইস চেয়ারম্যান জি.এম স্পর্শ দীর্ঘদিন থেকে তার নিজ এলাকা সহ জেলার বিভিন এলাকায় গরীব, দুঃস্থ, অসহায়, ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের নানাভাবে সহযোগিতা কওে যাচ্ছেন।
মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত এই জনপ্রতিনিধি দৈনিক সাতনদীকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল স্যার ও তার প্রশাসন। পাশপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও কাজ করেছেন বন্যা কবলিত মানুষের জন্য। আমিও কিছু কাজ করার চেষ্টা করছি মাত্র।
বন্যা কবলিত এলাকায় খাদ্য বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেড়িবাধ ভেঙ্গে আশাশুনি উপজেলার যে অবস্থা হয়েছে তাতে ক্ষতিগ্রস্থ ঐ সকল এলাকায় যাতাযাতের কোন ব্যবস্থা নেই। মানুষ সেখানে অবর্ননীয় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। বানভাসী মানুষের চাহিদা অনুসারে তিনি এরপর শুকনা খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।
তিনি সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন।