
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা): আশাশুনিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দার গাইনের পরিবারের সকলকে অচেতন করে নগদ অর্থ সহ বিপুল পরিমান মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা। অচেতন অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের ৩ সদস্যকে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দার গাইনের বড় ছেলে কবিরুল এর মেয়ে কানিজ ফাতেমা মিম সাংবাদিকদের জানান, গত রাতে খাওয়ার পর দাদা, দাদী, চাচা, চাচী ও আমি যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ৩ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমাদের বারান্দার গ্রিল খোলা। ঘরের ভেতর সব উলোটপালোট করা দেখে দাদা-দাদী ও চাচা-চাচীকে বার বার ডাকার পরও তারা না ওঠায় বুঝতে পারি তাদের অচেতন করা হয়েছে। সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় দাদী কোহিনুর বেগম (৬০) চাচা মনিরুল ইসলাম ও চাচী আসমা খাতুনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধার বড় মেয়ে খাস বাগান গ্রামের পুতুল ও মিম জানান, ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ ৯৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণের রুলি, চেইন, নেকলেস, ঝুমকাসহ প্রায় ১১ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ির পিছনের আম গাছে উঠে ছাদে নেমে ঘরের ভেতর ঢুকে চেতনা নাশক স্প্রে করে সবাইকে অচেতন করে দুর্বৃত্তরা। মিমের ঘরে ঢুকতে না পারায় সে রক্ষা পেয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই বাড়ির গোয়ালঘরে থাকা ৬গরু চুরি হয়েছিল বলে জানান প্রতিবেশীরা।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ সামছুল আরেফিন জানান, চুরির ঘটনা জানতে পেরে এসআই অনাথ মিত্র ও এসআই ফয়সালকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।