সচ্চিদানন্দদেসদয়
আশাশুনিতে নভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে পত্রিকা বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসছে; বাড়ি বাড়ি পত্রিকা নিয়ে গেলে এখন অনেকেই ‘বিরক্ত হন, ধমক’ দেন বলে হকাররা জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি ছুটি ঘোষণা ও লোকজনকে ঘরে থাকার আহবানে সারাদেশের মত আশাশুনির স্বাভাবিক জীবনের ছবিটা বদলে গেছে। দোকানপাট সব বন্ধ। সড়কে চলছে না কোন যানবাহন। ফলে বেনাচেনা না থাকায় খেটে খাওয়া মানুষের সাথে বিপাকে পড়েছেন পত্রিকা পরিবেশকরা।
সম্পর্কিত খবর
- সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে নারায়নগঞ্জ আতঙ্ক!
- গ্রাম পুলিশকে মারধোর করায় নৌবাহিনীর সদস্যর নামে থানায় অভিযোগ
- করোনায় মৃত্যু ১ লাখ ১৪ হাজার, আক্রান্ত ১৮ লাখ
- কোরিয়ান মডেলে বাংলাদেশে করোনা টেস্টিং বুথ
- সৌদিতে করোনায় মৃত ৫৯ জনের মধ্যে বাংলাদেশি ১০
আশাশুনির পত্রিকা পরিবেশকরা বলছেন, এ বিপদ কাটাতে সবাইকে ঘরে থাকার কথা বলা হলেও সংসার চালাতে, পরিবারের লোকদের জন্য খাবার জোগাতে ভয় আর আতঙ্ক উপেক্ষা করেই প্রতিদিন তাদের ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বন্ধ দোকানপাটও। ফলে পত্রিকার কেনা বেচা আগের মত নেই।
করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে হওয়ায় হকারের মাধ্যমে আসা সংবাদপত্র অনেকে আবার নিতে চাচ্ছেন না; হকাররা জানান, তারা আগে প্রতিদিন ৫০০ কপি পত্রিকা বিক্রি করতে পরতেন। এখন ৫০/৬০টির বেশি বিক্রি করতে পারছেন না।
আশাশুনির পত্রিকা পরিবেশকরা রেজাদুল বলেন, “আগে ৪০০ কপি পত্রিকা বিক্রি করতাম। এখন ৪০/৫০টি বিক্রি করি। করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ ভয় পায়, এই ভাইরাস বলে পত্রিকার মধ্যেও আছে এ ধরনের গুজবের কারণে মানুষ পত্রিকা নিতে চায় না।”
মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, “করোনা ভাইরাস আতঙ্কে এখন কেউ পত্রিকা নিতে চায় না। পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়ার দরকার।”
শিহাবউদ্দীন বলেন, “করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দোকানপাট, অফিস সব বন্ধ। এহন পত্রিকা চলে না। আগে ২০০ কপি পত্রিকা বিক্রি করতাম। এখন ৫০ কপি নিয়া যাই তাও ফেরত আসে। দোকানপাট সব বন্ধ, মানুষ পত্রিকা পড়ে না। আর লোকজন বলাবলি করে- সংবাদপত্রের সঙ্গে ভাইরাস আসে ঢাকা থেকে। এ জন্যে পত্রিকা বন্ধ কইরা দেওয়াই ভালা। আমাদের পরিশ্রম, শুধু আসা-যাওয়া করা। মানুষের সামনে গেলে বলে তোমরা পত্রিকা বেঁচো কেন। তোমাদের জীবনের ভয় নাই? কাস্টমার ধমক দেয়, পত্রিকা দিও না।
নুর ইসলাম ও কিংকর বলেন, এখন লোকজন পত্রিকা পড়ে না -ফলে ৫০ থেকে ৬০ কপির বেশি পত্রিকা তারা বিক্রি করতে পারছে না। ফলে আমাদের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে খুর কষ্টে আছি। আমাদের খোঁজ কেউ রাখে না। আমরা না খেয়ে থাকলেও আমাদের ভাগ্যে কোন অনুদান বা আর্থিক সহয়াতা জোটে না। আমরা আশা করবো এ কঠিন সময়ে আমাদের কে পর্যাপ্ত খাদ্য সহয়াতা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখবেন।