জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ঃ আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া হামিউচ্ছুন্নাহ কওমিয়া ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং সংলগ্ন চড় জামে মসজিদ নদী ভাঙ্গনে কবলিত হওয়ায় ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। বুধবার বিকালে তিনি ভয়াবহ ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেন।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এলাকার স্বনাধন্য মাদ্রাসা ও জামে মসজিদ মরিচ্চাপ নদীর চর ভরাটি স্থানে প্রতিষ্ঠিত। নদী খননের সময় ভরাট এলাকা দিয়ে খনন কাজ না করে ভাঙ্গন এলাকা দিয়ে খনন করায় বছর না ঘুরতেই পুনরায় ভাঙ্গন ক্রিয়া শুরু হয়। একমাস পূর্বে এখানে দৃশ্যমান ভাঙ্গন শুরু হয় এবং এক সপ্তাহ আগে ২০/২৫ হাত বাঁধ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রম ও নিজেদের চেষ্টায় শতাধিক বাঁশ জোগাড় করে পাইলিং কাজ করান। বুধবার দুপুর নাগাদ পাইলিংসহ নতুন করে ভেঙ্গে নদীতে চলে যায়। বর্তমানে মসজিদের গা ধরা করেছে, ইমাম সাহেবের বাসা ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। মাদ্রাসা হুমকীর মধ্যে রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ এলাকার অসংখ্য ঘরবাড়িতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কাদাকাটি ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক আহবায়ক জহির উদ্দীনের উদ্যোগে ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব জাকির হোসেন বাবুর আমন্ত্রনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুধবার ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেন। তিনি ভাঙ্গনের ভয়াবহতা দেখে শঙ্কা প্রকাশ করেন এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বস্থ করেন। এসময় ছাত্রদলের আতিক, বিএনপির তারিকুল খাঁ, বদরুল আলম, একরামুল মাস্টার, আজগর, আইনুর গাজী, রফিকুল সরদার, রাজু গাজী, বড় খোকন, মোসলেম, মানিক, খায়রুল, আল মামুন মোড়ল, বোরহান উদ্দীন বাবু, সাইদুল সরদার, আলেপ সরদার, ফারুক, করিম সানা, আলী হোসেন, ছালাম গাজী, লিটু সরদার, মসজিদের ঈমাম হুসাইন আহমেদ, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, সভাপতি লুৎফর রহমান, সেক্রেটারী নজরুল ইসরাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সাবেক আহবায়ক জহির উদ্দীন বলেন, আমরা সব সময় এলাকার মানুষের সহযোগিতায় ভাঙ্গন রোধে কাজ করছি। আমরা ইউএনও মহোদয়ের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় দ্রুত কাজ পেতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব।