
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) : আশাশুনি উপজেলার উত্তর চাপড়ায় আপন মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা নিয়ে আক্রমন চেষ্টা, ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে বৃদ্ধ মা আছিয়া খাতুন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্র ও বাদী পক্ষ সুত্রে জানাগেছে, মৃত আঃ ছাত্তার সরদারের স্ত্রী আছিয়া খাতুন স্বামীর জীবদ্দশা থেকে স্বামীর ভিটায় বসবাস করে আসছেন। বড় ছেলে মিজানুর পিতার ভিটা ছেড়ে মহেশ্বরকাটিতে বসবাস করে থাকে। পিতা এজন্য তাকে ৫০ হাজার নগদ টাকাসহ বিভিন্ন সময় অনেক টাকা দিয়েছেন। পুত্র মিজানুর ও জামাতা আকরাম সরদার বিভিন্ন ভাবে অতিশয় বৃদ্ধ আছিয়াকে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। প্রায়ই তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করতে উদ্যত এবং জীবন নাশের হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। গত ২৯ জুন বেলা ১ টার দিকে ভগ্নিপতির সহায়তায় মিজান হাতে দা নিয়ে খুন জখমের লক্ষ্যে আক্রমন চালিয়ে ঘরের বারান্দার বেড়া ভাংতে থাকলে জীবন বাঁচাতে বৃদ্ধা মা অন্য পথে পালিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এসময় তারা মা ও ছোট ভাই হাসানুরের ঘরবাড়ি আসবাবপত্র ভাংচুর ও ২ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার (মূল ৩ লক্ষ টাকা)সহ মূল্যবান আসবাবপত্র ও দুটি ছাগল প্রকাশ্যে নিয়ে যায়। মিজানুর তার অপরাধ ঢাকতে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উল্টো অভিযোগ করেছে, যা হাস্যকর বলে তারা অভিযোগ করেন।
প্রতিবেশী সেলিনা খাতুন ও জরিনা খাতুন জানান, মিজানুরকে রবিবার বাড়িতে হামলার পর ছাগল ধরে নিয়ে যেতে তারা দেখেছেন। বৃদ্ধা মা ও স্থানীয়রা জানান, ১০/১২ বছর আগে থেকে মিজানুর মহেশ্বরকাটিতে বসবাস করে থাকে। তার পিতা এক সময় তাকে ঘরের এক কক্ষ বসবাসের জন্য দিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে সে আসেনি, ঘরটি সম্পূর্ণ খালি পড়ে আছে। পিতার জমিজমাও তাদের মধ্যে বন্টন করা হয়েছে। তারপরও হঠাৎ করে অনাচার শুরু করেছে।
স্থানীয় রেজাউল ইসলাম জানান, মিজানুর ১০/১২ বছর মহেশ্বরকাটিতে বসবাস করে। রবিবার হঠাৎ করে মায়ের বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও ছাগল নিয়ে গেছে যা স্থানীয়রা দেখেছে।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ সঠিক নয়। থানা পুলিশের কাছে নয় আদালতের মাধ্যমে বিচার হবে।