সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ঘোলা ত্রিমোহিনী খেয়াঘাটের মালিক বিহীন ইজারাদার আক্তার আলীর নির্দেশে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার দলবলের এহনো কর্মকান্ডে এলাকার হাজার হাজার ভুক্ত ভুগিকে ভাবিয়ে তুলেছে ।তবে অবৈধ ইজারাদার আক্তারুল এ সকল ঘটনা অস্বীকার করে বলেন এ খেয়া ঘাটের কোন বৈধ কাগজপত্র আমার কাছে নেই। দীর্ঘ কাল থেকে ঘোলার ত্রিমোহিনী খেয়া ঘাটটি পরিচালিত হয়ে আসছে। বিগত নব্বই দশকের পর হতে সরকারি বিধি মোতাবেক কোন অনিয়ম ছাড়াই শান্তিপুর্ণ ভাবে পরিচালিত হয়ে এসেছে। গত ১৫ অর্থ বছর থেকে ২০ অর্থ বছরে খেয়া ঘাটের মুল রাজস্ব ফাকি দেওয়ার জন্য একটি পক্ষ মহামান্য হাইকোর্টে কোন কারণ ছাড়াই স্থগিত আদেশ চেয়ে রিট আবেদন করেন । এর পর উক্ত খেয়াঘাটের মুল ইজারাদারের বিরুদ্ধে স্থগিত আদেশ হয়। বিধি মোতাবেক উক্ত খেয়াঘাটটি জেলা পরিষদ খাস কালেকশন হিসাবে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে উক্ত খেয়াঘাটের সাধারণ পারাপারের মানুষের নিকট থেকে নিয়ম বর্হিরভুত অর্থ আদায় শুরু করেন গোলাম সরোয়ার পল্টু।এ ছাড়া উক্ত খেয়াঘাটের খাস কালেকশন বাবদ ১৫ অর্থ বছর থেকে ২০ অর্থ বছরের রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে তিনি আত্নসাত করেন। বিষয়টি নিয়ে দির্ঘদিন জেলা পরিষদ সরকারি টাকা আদায়ের তাগিদ দিলেও শেষ পর্যন্ত আদায় না হওয়ায় দুর্নিতি দমন কমিশনের খুলনা রেজ্ঞজের উপ পরিচালক বাদি হয়ে ২/১ নং একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেন। উক্ত মামলাটি আগামি ২৫ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার স্পেশাল জর্জ আদালতে গোলাম সরোয়ার পল্টু সহ ১২ জনের জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানাগেছে। খেয়া ঘাটের অনিয়মের বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এমন কোন কিছু আমার জানা নাই লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, খেয়াঘাটে এমন নিয়ম বর্হিভুত অর্থ আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নাই । আমি তদন্ত করে দেখবো । যদি প্রমানিত হয় অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।