
★ কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুন মাসে
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি: নদী বেষ্ঠিত আশাশুনিবাসীর দুঃখ নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ রক্ষার দাবী প্রধান দাবী। দাবী রক্ষার অংশ হিসেবে ঘোলা খেয়াঘাট হতে গরালী খেয়াঘাট পর্যন্ত বাঁধের কাজ চলছে। ২০২৬ সালের জুলাই মাসের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কাজ শেষ হলে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নবাসী, প্রতাপনগরের একটি ওয়ার্ড ও পাশের ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ঘোলা-গরালী খেয়াঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ পাউবো’র বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় প্রতি বছর এলাকা প্লাবিত হয়ে আসছে। সরকার বাঁধ রক্ষায় এম এম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ কে কাজের দায়িত্ব দিয়েছে। জাইকার অর্থায়নে দুটি প্যাকেজে ৬৫ কোটি ৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৩৬ টাকা ও ৬৪ কোটি ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬০২ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ৩ কিঃ ৩০০ মিটার এর বাঁধের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। বালিভর্তি বস্তা ডাম্পিং এর কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ৯ লক্ষ ডাম্পিং ব্লক করার কথা থাকলেও ইতিমধ্যে ৭ লক্ষাধিক কাজ করা হয়েছে। প্লেসিং ব্লক ২ লক্ষ ১৪ হাজার তৈরির কথা থাকলেও ৩৮০০+ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
এমএম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ এর সার্ভেয়ার আব্দুল আলিম জানান, ব্লক তৈরির জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না পাওয়ায় শুরু থেকে কাজের গতি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে লক্ষিত কাজ অর্জন সম্ভব হয়নি। এজন্য দু’দফা সময় এক্সটেনশন করাতে হয়েছে। কাজ সমাপ্তির সর্বশেষ সময় নির্ধারন করা হয়েছে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে পুরোদমে কাজ এগিয়ে চলছে। প্রতিদিন ১৪০ জন নিয়মিত শ্রমিক কাজ করছে। এছাড়া প্রয়োজনে অতিরিক্ত শ্রমিক কাজে সম্পৃক্ত হয়ে থাকে। কাজের অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক রয়েছে। প্যাকেজ ৪ এ ব্লক ডাম্পিং এর কাজ বাকী রয়েছে ৩২৩ মিটার। প্যাকেজ ৩ এ ব্লক ডাম্পিং এর কাজ বাকী রয়েছে ৫২০ মিটার। ব্লক প্লেসিং এর কাজ ২/৩ দিনের মধ্যে শুরু হবে বলে তিনি জানান।