প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ১১:৫৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা প্রাইমারী স্কুল নিয়ে ষড়যন্ত্র
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ঃ আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত। খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলে আসছিল স্কুলটি। ১৯৯৮ সালে বর্তমান প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলাম স্কুলটিতে যোগদান করেন। সেই থেকে নতুন ভাবে বিদ্যালয়টি পরিচালনা শুরু হয়। তিনি অতি কষ্ট করে বিদ্যালয়কে টিনসেড ও চাচের বেড়া দিয়ে নতুন ভাবে নির্মানের ব্যবস্থা করেন। গ্রামে অভিভাবকদের সাথে সু সম্পর্ক গড়ে তুলে সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে সুন্দর পরিবেশে স্কুল পরিচালনা করতে থাকেন। তখন ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ১৭০ জনে পৌছে। আর পিছনে ফিরতে হইনি। লেখা পড়ার মানোন্নয়ন, পরিবেশ সুন্দর করা, নিয়মিত ক্লাশ পরিচালনার মাধ্যমে স্কুলকে গতিশীল ও সুন্দর পরিবেশে চলতে থাকে। প্রধান শিক্ষক ও কমিটির প্রচেষ্টায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে স্কুল ভবনের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়। ২ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মান কাজ চলছে। বর্তমানে কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন প্লাস্টার, দরজা জানালার কাজ বাকী আছে। কিন্তু স্থানীয় ২/৫ জনের একটি চক্র ভবন নির্মানের শুরু থেকে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে থাকে। এক পর্যায়ে ৩ মাস কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন ঠিকাদার। পরবর্তীতে কাজ শুরু করা হলেও চক্রটি প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ঠিকাদারের কাছে বড় অংকের টাকা দাবী করে। টাকা আদায় না হওয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বেড়ে যায়। অভিযোগ বন্ধ করতে ও চাঁদার টাকা লাগবেনা পরিবর্তে দপ্তরী পদে চক্রের একজনকে নিতে হবে বলে প্রস্তাব করে তারা। এতে তারা রাজী না হওয়ায় ক্ষুব্দ ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে চক্রটি গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে ষড়যন্ত্র মূলক মানববন্ধন করে। এব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসন ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করোছেন।
Copyright © 2025 দৈনিক সাতনদী. All rights reserved.