জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ঃ আশাশুনিতে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৫০ বছরের ভোগদখলীয় জমির মৎস্য ঘেরের মাছ লুট ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত এজহার দাখিল করা হয়েছে।
গদাইপুর গ্রামের মৃত চিত্ত রঞ্জন হালদারের ছেলে প্রভাকর হালদার বাদী হয়ে একই গগ্রামের মঙ্গল ব্যানার্জী, কাপসন্ডা গ্রামের মোমরেজ বক্স সানা, শামীম হোসেন, তুহিন, বাবুল সানা, জাহিদ হোসেন, শামছুল হুদা, বিল্লাল গাজী, সামাদ গাজী, গদাইপুর গ্রামের দয়াল হালদার, কার্তিক হালদারসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগে জানাগেছে, গদাইপুর মৌজায় সিএস ১৮০ ও ১৮১ নং খতিয়ানে ৬৬১ ও ৬৬২ দাগে বাদীর পৈত্রিক ১৮ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছরের ভোগদখলীয় জমিতে মৎস্য ঘের আছে। পিতার মৃত্যুর পর হতে ঘেরটি তিনি পরিচালনা করে আসছেন। গত ০১ নভেম্বর রাত্র ১১.৪৫ টার দিকে অভিযুক্তরা বেআইনী জনতাবদ্ধ হয়ে দা, লাঠি, লোহার রড, শাবল ইত্যাদি নিয়ে মৎস্য ঘেরে অনধিকারে প্রবেশ করে জবর দখলের চেষ্টা করলে ঘেরকর্মচারী মেজবাউল বাধা নিষেধ করলে তাকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে ফোলা জখম করা সহ অস্ত্রপাতি দেখিয়ে খুন জখমের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। কর্মচারী প্রাণ ভয়ে ঘেরের বাসার সামনে দাড়িয়ে দেখে আসামীরা ঘুনি, আটন ঝেড়ে ও টানা জাল দিয়ে বাগদা, গলদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির অনু: ১,৫০,০০০/-টাকার মাছ ধরে নেয়। এরপর মৎস্য ঘেরের বাসা ভাংচুর করে ১০,০০০ টাকার ক্ষতি সাধন এবং গ্যাসের চুলা, দুইখানা খেপলা জাল, একটি টর্চ লাইট, কোদাল সহ বিভিন্ন প্রকারের ১৭০০০ টাকার মালামাল নেয়। কর্মচারী ঘের থেকে দৌড়াইয়া ডাকচিৎকার করলে মা ঝর্ণা রানী ও স্বাক্ষীরাসহ অনেকে ঘটনাস্থলে আসলে আসামীরা খুন জখমের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া মাছ ও মামালাম নিয়ে চলে যায়। অভিযোগটি এজাহার হিসাবে গন্য করতঃ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জোর দাবী জানান হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুল আরেফিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

