# বাজার দর ও সরকারি দরের মধ্যে বিস্তর ফারাক
#কৃষক-ডিলার গোডাউনে বিক্রয়ে না!
আশাশুনি সংবাদদাতা: সরকারি ভাবে ধান ও চাল সংগ্রহ কর্মসূচি কেন্দ্রীয় ভাবে উদ্বোধন করার পর প্রায় একমাস অতিবাহিত হলেও আশাশুনি উপজেলার দু'টি খাদ্য গুদামে এক কেজিও চাল বা ধান ক্রয় করা সম্ভব হয়নি। কৃষক ও মিলাররা মূল্য অসংগতির কথা বলে সরকারী গোডাউনে চাল ও ধান বিক্রয় করতে অনীহা প্রকাশ করছে। জানাগেছে, ধানের দাম বাড়ার সঙ্গে চালকলগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়ায় ভরা মৌসুমে মুখ থুবড়ে পড়েছে সরকারের খাদ্য বিভাগের ধান-চাল সংগ্রহ কর্মসূচি। খাদ্য অধিদপ্তরের আওতায় ধান-চাল সংগ্রহে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকরা। ফলে আগামীতে সরকারের বেঁধে দেওয়া খাদ্য সংগ্রহ কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এবছর সরকারিভাবে মোটা চাল ৪৭ টাকা কেজি রেট নির্ধারণ হলেও বাজারমূল্য রয়েছে ৫১-৫২ টাকা কেজি। একই ভাবে প্রতি দেড় মনের বস্তা ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৮০ টাকা, অথচ বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ২১০০ টাকার উপরে। সেক্ষেত্রে মিল মালিকরা লস দিয়ে সরকারকে চাল ও ধান না দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। সরকার চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সারা দেশ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টন ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আশাশুনি উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৫৯৪ মে টন এবং চাল ক্রয় করা হবে ৪৩ টন সিদ্ধ ও ৪৪ টন আতপ। চাল ক্রয়ের জন্য ৫ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যে কোন কৃষক ৩০০০ কেজি পর্যন্ত ধান বিক্রয় করতে পারবে। উপজেলা খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি সুনীল মন্ডল জানান, গত ১৭ নভেম্বর থেকে আমন কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যা চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত এক মাসে আমন মৌসুমে চাল ও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আমরা এক কেজিও সংগ্রহ করতে পারিনি। বাজার ধরের সাথে সরকারি রেটের তারতম্যের কারনে কৃষক বা মিলাররা এখনো ধান-চাল দেননি বলে তিনি জানান।