আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে দোকান, মৎস্য ঘেরে লুটপাট ও বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীদের ভয়ে বাড়ির লোকজনের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি ও দেশীয় অস্ত্র হাতে হুংকারে রাতের গ্রামবাসী হতচকিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত্র সাড়ে ১২ টার দিকে খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গদাইপুর গ্রামের মৃত শরবত আলী মোল্যার পুত্র শিমুল, গোলাম রব্বানী মোল্যার পুত্র মফিজুল, গফুর মোল্যার পুত্র হাসানসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, পবিত্র রমজানের তারাবীর ছালাত আদায়ের পর মানুষ যখন ঘুমে কাতর বিছানায় অবস্থান করছেন, তখন নিস্তব্ধ গ্রামের মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে শরবত হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামীসহ সন্ত্রাসীরা স্বশস্ত্র অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত্র সাড়ে ১২ টার দিকে হাসান ও মফিজুলের মৎস্য ঘের ডাঙ্গীর গাঙসহ ডিপ ঘেরে আক্রমন করে। ঘের মালিকরা বুঝতে পেরে দ্রুত পাশে পালালে আক্রমনকারী ঘেরের আটন ঝেড়ে ও বাসার সামনে ঝেনায় রাখা ৫০ সহস্রাধিক টাকার মাছ লুট করে নেয়। এরপর গদাইপুর-তুয়ারডাঙ্গা ব্রীজের মুখে শিমুল হোসেন এর দোকানে দরজা ভেঙ্গে দোকানে থাকা ফ্রিজ, টেবিল ফ্যানসহ ৬০/৭০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয়। এসময় খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী অহিদুল ইসলাম মোল্যার নির্মানাধীন বাসভবনে, কয়েকটি দোকান বাড়িতে আক্রমন চালিয়ে গেট, শার্টার, টিনের চাল ভাংচুর করে। নিহত শরবতের কবরে আঘাত করা এবং নাম ধরে ধরে অনেকের জীবন নাশেল হুমকী দেওয়া হয়। মৃত দাউদ মোল্যার পুত্র আনারুল, জামশেদ মোল্যার পুত্র মোস্তাকিম, আনারুলের পুত্র মোস্তাকিম, মৃত জবেদ মোল্যার পুত্র ইউসুফ, ওমর শেখের পুত্র নুরুল, সাদ সরদারের পুত্র ছালামসহ গোলাম রসুল বাচ্চু, নুরুজ্জামান, বাচ্চু এবং তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের লাঠিয়াল বাহিনীসহ ৫০/৬০ জন এই আক্রমনে যোগ দেয়। মোবাইলে পুলিশকে জানালে এসআই কায়ছার ও এসআই রুবেলসহ অন্যান্য ফোর্স ঘটনাস্থানে পৌছলে আক্রমনকারীরা দ্রুত গা ঢাকা দেয়। খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী অহিদুল ইসলাম জানান, প্রকাশ্য দিবালোকে শরবত হত্যাকান্ডসহ হত্যা, ধর্ষন, লুটপাটসহ একাধিক মামলার আসামীরা জামিনে ছাড়া পেয়ে পুনরায় এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করছে। মাছ লুটসহ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হুমকী ধামকী ও মারপিট করাসহ নানাবিধ অপরাধ করে তারা ইউনিয়নের নিরিহ মানুষকে ঘরছাড়া, এলাকা ছাড়া ও শান্তিতে বসবাস করতে দিচ্ছেনা। তিনি এলাকার মানুষের শান্তি ও নিশ্চিন্তে বসবাসের স্বার্থে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করেন।