
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা): আশাশুনি উপজেলার খাজরায় রেকর্ডীয় জমি জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শালিস অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খাজরা ইউনিয়নের রাউতাড়া গ্রামের মৃত ইছাহক মোড়লের ছেলে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান মোড়ল জানান, রাউতাড়া মৌজায় এসএ ১৩ ও ১৪ নং খতিযানে, বিআরএস ১৩৭৮ খতিয়ানে, এসএ ১৭৪, ৯৪, ৯৭, ৯৮, ১৪৮, ১৪২ ও বিআরএস ৫৯৬, ৫৯৭, ২৬৮, ৩০৭, ৩৯৩, ৩৯৪, ৩৯৫ ও ৩৯৬ দাগে মোট ১২.১২ একর জমির মূল ডিগ্রী মালিক মোবারক আলী মোড়ল ৪৩৬৩ নং (তাং ২৪-৫-৮২) বন্টন নামা মূলে ৭ ভাই সমান অংশে ভাগবাটোয়ারা করে নেন। ৭ ভাইয়ের একজন মৃত ইছাহক আলী মোড়ল এর ওয়ারেশগন ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আঃ মান্নান মোড়ল দিং ১৩৭৮ নং ডিপি রেকর্ডীয় মালিক হওয়া সত্বেও তাদের জমি স্থানীয় কৃষক লীগ ইউনিয়ন সভাপতি রবিউল ইসলামের নের্তৃত্বে তার সহোদর ভাইয়েরা জমি জবর দখলের ষড়যন্ত্র করে আসছিল। এরই অংশ হিসাবে গত ২৮ অক্টোবর লাঠিয়াল দলবল নিয়ে বাদীর ১.৭৩ একর জমিসহ উক্ত ডিপির খরিদাসূত্রে প্রাপ্ত অন্যান্য রেকর্ডীয় মালিকের জমিতে জবর দখল নিয়ে চাষাবাদ করতে থাকে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আঃ মান্নান দিং বাদী হয়ে রাউতাড়ার মৃত আনছুর শাহ্’র ছেলে মইনুর রহমান মন্টু, মৃত সামছুদ্দীন সরদারের ছেল আলী বক্স সরদার, গজুয়াকাটির মৃত রথিকান্ত সরকারের ছেলে বাল্লক সরকার,
সলিমুদ্দীন সরদারের ছেলে রফিকুল সরদার, ফটিকখালীর লোকমান সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদারকে বিবাদী করে খাজরা ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু ২ নভেম্বর উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিস করছিলেন। এক পর্যায়ে শালিস চলাকালে বিবাদী পক্ষ বাদীদের উপর চড়াও এবং জীবন নাশের হুমকী দেয়। বাদী আঃ মান্নান আরও জানান, জমি আমাদের নামে রেকর্ড (নং ১৩৭৮) ও খাজনাদি পরিশোধ করা। তাদের রেকর্ড না থাকা ও আদালতে দেং ৫৪/২৩ মামলা চলমান থাকার পরও বেআইনী ভাবে জবর দখল ও জীবন নাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু জানান, শালিস চলাকালে মুক বলাবলি ও অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলে সালিস স্থগিত করা হয় এবং আদালতের শরনাপন্ন হতে বলা হয়।

