
বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি থেকে:
উপজেলার আশাশুনি সদর ইউনিয়নে কোদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুখিরাম ঢালী দীর্ঘ ৩৭ দিন পর মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তার জামিননামা পৌঁছালে ওই রাতেই তিনি মুক্তি পান। পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বিদ্যালয়ের কর্মস্থলে পৌঁছালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার মন্ডলের জোগসাজোসে একটি পক্ষকে লেলিয়ে দিয়ে প্রধান শিক্ষক দুখিরাম ঢালীর উপর হামলা ও মার পিটের ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলার শিকার হয়ে তিনি শিক্ষা অফিসার এবং স্থানীয় প্রশাসনকে হামলা ও মারপিটের ঘটনা অবহিত করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামানের সমন্বয়ে প্রধান শিক্ষক দুখিরাম ঢালী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহ ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে আলোচনায় সিদ্ধান্ত। সভাপতি ফিরে না আসা পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলের সকল কার্যক্রম করতে পারবেন।
এদিকে অভিভাবক সদস্য আনিসুর রহমান বলেন, নারি কেলেঙ্কারির দায়ে দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিলেন প্রধান শিক্ষক দুখিরাম। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে। প্রধান শিক্ষককে স্বপদে ফিরে আসতে হলে পুনরায় ম্যানেজিং কমিটির আলোচনার মাধ্যমে আসতে হবে। কিন্তু তিনি মুক্তি পেয়েই পরের দিন আলোচনা ছাড়াই গায়ের জোরে স্বপদে বহল থেকে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করেন। এতে একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে আইন শৃঙ্খলার অবনতি দেখা দেয়। সর্বশেষ পক্ষদ্বয়ের উপস্থিতিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আপস মীমাংসা করে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে সমস্যা হয়েছে সেটা নিরসন করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক বলেন, মিথ্যা সাজানো মামলায় আমি ৩৭ দিন জেল হাযতে ছিলাম। গত সোমবার মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছি। পরের দিন যথা নিয়মে বিদ্যালয়ে পৌঁছালে প‚র্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উস্কানিতে আমার উপর হামলা ও মার পিটের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেটি শান্তিপূর্ণভাবে কর্তৃপক্ষ আপস মীমাংসা করে দিয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, বেসরকারি বিদ্যালয়গুলি যে নিয়মে পরিচালনা করা হয়ে থাকে সেটি তিনি না মেনে গায়ের জোর দেখাতে গিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হয়েছে।