সচ্চিদানন্দদেসদয়: আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের কামালকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টেষ্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের তান্ডবে স্কুলের ক্ষয়ক্ষতি এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখানোর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন।
স্কুলের ১০ শ্রেণির (এসএসসি পরীক্ষার্থী নির্বাচনের জন্য) টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর দেখাযায় ৩১ জনের মধ্যে ১৪ অকৃতকার্য হয়েছে। অকৃতকার্যরা প্রায় সবাই ৫টি সাবজেক্টে খুবই কম নম্বর পেয়ে ফেল করেছে। ইতিমধ্যে কৃতকার্যদের তালিকা অন লাইনে প্রেরন করাও হয়ে গেছে। অকৃতকার্য হাসিবুর রহমান রকি, জাহিদুল, ওমর ফারুক, সীমান্ত মন্ডল, মোস্তাকিম গাজী, সুরাইয়া খাতুন, রায়হান সরদার, আরিফুল, মাসুদ রানা, তুরান গাজী, আহছান উল্লাহ, তুহিন গাজী, ইমন হোসেন ও মামুন হোসেন এবং তাদের অভিভাবকরা এনিয়ে সংগ্রাম শুরু করেন। বুধবার কমিটি ও অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং করা হলে, সিদ্ধান্ত হয় যে, অকৃতকার্যদের আরেকবার সুযোগ দিয়ে অংক বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার পর যারা কৃতকার্য হবে তাদেরকে লেট ফি দিয়ে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। ফিসের টাকা স্কুলের সভাপতি সঞ্জয় কুমার দাশ নিজের পকেট থেকে দিবেন বলে ঘোষণা দেন। মিটিং চলাকালে অকৃতকার্যরা ও কয়েকজন অভিভাবক ৯ম শ্রেণির ক্লাস রুমে গিয়ে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলে এবং কক্ষের দরজা আটকে দিয়ে হুলু স্থল অবস্থার সৃষ্টি করে। তাদেরকে শান্ত করা হলে তারা বৃহস্পতিবার পুনরায় পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে চলে যায়। এরপর তারা পথিমধ্যে ইংরেজী শিক্ষক প্রশান্ত কুমার বাছাড়কে টেষ্টে পাশ না দেখালে মজা দেখানোসহ নানাভাবে হুমকী ধামকী দেয়। বুধবার দিবাগত রাতে হাসিবুর ও মাসুদ রানার নেতৃত্বে অকৃতকার্যরা স্কুল ভবনের জানালা ভেঙ্গে দু’টি কক্ষের ভিতরে ঢুকে সিলিং ফ্যান ভাঙ্গাসহ বিভিন্ন ক্ষতিসাধন করতে থাকে। নাইট গার্ড অমল কৃষ্ণ মন্ডল ‘কে কে’ বলে এগিয়ে গেলে তার উপর হামলা চালান হয়। ফলে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসআই বিল্লাল হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ম মোনায়েম হোসেন, এসএমসি সভাপতি সঞ্জয় দাশসহ অনেক অভিভাবক ও সদস্য ঘটনা দেখনে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যান। এব্যাপারে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সকলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।