
সচ্চিদানন্দদে সদয়,আশাশুনি থেকে: আশাশুনি উপজেলার একটি পঞ্চাৎপদ ইউনিয়নের নাম কুল্যা ইউনিয়ন। জাল জালিয়াতি আর হয়রানি মূলক মামলা মোকদ্দমায় অতিষ্ট এই জনপদের মানুষ। মৎস্য ঘের গুলো প্রভাবশালী মহলের দখলে। এখনও সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি।সমস্যা রয়েছে পানীয় জলের। রয়েছে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই জনপদের মানুষের সম্যসার অন্ত নেই। এখানকার মানুষের দিন আনা দিন খাওয়া। চোখে মুখে হতাশা আর আতঙ্কের ছাপ। চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা উপায় নেই এই কুল্যা জনপদের মানুষের দুরবাস্থার কথা কুল্যা, গুনাকরকাটি, বাইনবসত, বাহাদুরপুর, পুরোহিতপুর, মাদারবাড়িয়া, গোবিন্দপুর বাঁশতলা, আইতলা, মহাজনপুর, মহিষাডাঙ্গা, দাদপুর, আগড়দাঁড়ী, কচুয়া, মনোহরপুর, গাবতলা, হামকুড়া, কাটাখালি, বশিরাবাদ, আরার মোট ২১ টি গ্রামের আয়তন ৭, ৮৮৩ একর। সাতক্ষীরা জেলার সবচেয়ে পশ্চাৎপদ উপজেলার নাম আশাশুনি। আর আশাশুনি উপজেলার একটি ইউনিয়ন কুল্যা। এই ইউনিয়নের উত্তরে তালা থানা দক্ষিনে বুধহাটা ইউনিয়ন পূর্বে দরগা পুর আর পশ্চিমে সাতক্ষীরা সদর। এ ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ২০ হাজরের কিছু বেশী। এ লোক সংখ্যার অর্ধেক নারী অর্ধেক পুরুষ। শিক্ষিতের হার খাতা কলমে শতকরা ৫০/৬০ ভাগ হলে ও বস্তবে অনেক কম। কুল্যা ইউনিয়নের ২১ টি গ্রামের মধ্যে মহাজনপুর, কুল্যা গ্রামের জাল জালিয়াতির মাধ্যমে একটি বিশেষ মহল সাধারন মানুষের কারায়াত্ব করে চলছে। এখানে একটি চক্র জাল জালিয়াতি ডলার ভাঙ্গানো, জাল টাকা তৈরি, বিভিন্ন প্রতারনা মুলক কাজের সাথে জড়িত। এক সময়ের শস্য ভান্ডার বর্তমানে সব দখল করেছে চিংড়ী ঘের। চিংড়ী ঘেরের কতৃত্ব আর দখল নিয়ে মারামারি ঘটনা ঘটে প্রায়ই।
এ ইউনিয়নে সুপেয় পানির সংকট রয়েছে।অধিকাংশ মানুষ খাবার অনুপোযুক্ত পানি পান করে থাকে।ফলে প্রায় সময় ইউনিয়নের মানুষ পেটের পীড়া সহ নানা রকম অসুখে ভোগে।পরিবার পরিকল্পনা কিংবা স্বাস্থ্য কর্মীরা ভুলেও গ্রামে যান না বলে অনেকে অভিযোগ করেছে।অথচ খাতা কলমে নিয়মিত পরিদর্শন দেখানো হয়ে থাকে।
এ ইউনিযনে প্রচুর সংখ্যা লঘু সম্প্রদায় বসবাস করে। এখান সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের অধিকাংশ মাদুর তৈরি, মাছ ধরা, কামলা খেটে থাকে। কুমার রা মাটির তৈজস পত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। নদীর নব্যতা কমে যাওয়ায় এবং সরকারি খালগুলো অমৎস্য জীবিদের হাতে চলে যাওয়ায় জেলে সম্প্রদায়ে লোকজন চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে। ওদের অবস্থা নুন আনতে পান্থা পুরানোর মত অবস্থা। শীতের মৌসুম আসায় অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এলাকার অনেক মানুষ স্ব স্ব পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় যেয়েও সুবিধা করতে পারছেনা। অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছে।ইউনিয়নে কয়েকটি মৎস্য সমবায় বায় সমিতি থাকলেও সেগুলো অমৎস্য জীবিদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানা গেছে।