নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের সোনাই গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তি দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও পুলিশ কর্তৃক মারপিটের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল (২৬ জুলাই) রবিবার বিকালে সোনাই গ্রামবাসীর আয়োজনে সোনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন,“ উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুর মৌজার এস,এ- ৩০৬ নং খতিয়ানে ১ একর ৫৯ শতক জমি যার হাল ৩৫২৮ দাগে ০৬ শতক জমি মালিক সোনাই গ্রামের মৃতু নটবর গাইনের পুত্র চিত্ত রঞ্জন গাইন। সোনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মানের পূর্বে চিত্তরঞ্জন গাইন একই গ্রামের সতীশ গাইনের পুত্র শিক্ষক গৌরঙ্গ গাইনের সাথে এওয়াজ বদল করে বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয় নির্মানের পর চিত্তরঞ্জন গাইনে আরও কিছু জমি সেখানে থেকে যায। উক্ত জমি বের কওে ভোগ দখল করতে চাইলে গৌরাঙ্গ গাইন গং জমিটি অবৈধ ভোগদখলের পায়তার করে। এ ব্যাপারে চিত্তরঞ্জন গাইন বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এ,এস,আই কবির হোসেন বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি সালীশি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে বিষয়টি সেসময় আপাতত: নিরসন না হওয়ায় উভয়পক্ষ ফিরে যান। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে চিত্তরঞ্জন গাইন গত ১৩ জুলাই তারিখে থানায় ৫৬০ নং একটি সাধারণ ডায়েরীও করে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এর পর গত ২৭ জুন বেলা ১১টার সময় এ,এস,আই কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সরেজমিনে যান। এক পর্যায়ে তিনি অভিযোগকারীর পুত্র বধূ মানি রানী গাইন, স্ত্রী সুশিলা গাইনকে মারপিট করে। এ সময় অভিযোগকারী চিত্তরঞ্জন গাইন এবং তার পরিবারের সদস্য বিবেকানন্দ গাইন, জগবন্ধু গাইন, বাবু গাইন, হরিদাশ গাইন, কার্ত্তিক গাইনকে মারপিটের উদ্দেশ্যে তাড়িয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ,বি,এম মোস্তকিমকেও অবহিত করা হয় বলে বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
বক্তারা অবিলম্বে জমি জবরদখলকারী গৌরাঙ্গ গাইন গং দের হাত থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে এবং পুলিশী মারপিটের ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সোনাই সরকারি প্রাথমিকি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কৃষ্ণপদ মন্ডল, অভিভাবক সদস্য কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডল ও মানী রানী গাইন। এ সময় আওয়ামীলীগের উপজেলা কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন সরকার, প্রাইভেট শিক্ষক দুলাল চন্দ্র মন্ডল, সমাজ সেবক গহর আলী সহ আরো অসংখ্য গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে এএসআই কবীরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে থানায় না পেয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।