
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের কাঁকড়া বুনিয়া বিসমিল্লাহ নামক মৎস্য ঘেরের আনুঃ ১৪ একর খাস জমি একের পর এক জালিয়াতি কাগজ বানিয়ে মিথ্যা মামলা সরকারের কাঁধে চাপিয়ে হয়রানী করছে ভূমি দস্যু সমসের গাজী। এই জালিয়াতি চক্রের হোতাকে তদন্ত পূর্বক গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন এলাকার ভূমিহীন ও সাধারন মানুষ। উক্ত জমি নিয়ে সাতক্ষীরার বিভিন্ন আদালতে মামলা ঠুকি দিয়েছে তারা। মামলার বিবরনে জানাগেছে কালিগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মৃত বশির গাজীর ছেলে সমসের,নুরুল হক ও সাইফুল্লাহ পাশ্ববর্তি আশাশুনি উপজেলার লাঙ্গলদাড়িয়া মৌজার এসএ ৯৩ ও৯৪ নং খতিয়ানের ৪৫৫ ও ৪৫৬ দাগ সহ অন্যান্য দাগ মিলে ৪.৫২ ও ৮.৪৮ একর জমি ১৯৬০/৬১ সালের জাল বয়নামা ও দখল নামা সৃষ্টি করে জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা অব্যহত রেখেছে। উক্ত জমির মধ্যে হতে ২০১৫ সালে ৯৪নং খতিয়ানের ৪একর ৫২শতক জমি বিধি মোতাবেক সরকার রাজস্ব নিয়ে ৯জন ভূমিহীনদের মাঝে ইজারা প্রদান করে আসছে। উল্লিখিত ব্যক্তিরা সরকার পক্ষকে বাঁধা গ্রস্থ করার জন্য সাতক্ষীরা জেলা যুগ্ম(২নং) জজ আদালতে ৬১/১৫ নং মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক ফারুক হোসেন চিহ্নিত ভূাম দস্যু সমসের গংদের বিরুদ্ধে গত ১৭/৮ তারিখে ১৯৬০/৬১সালে কাগজ পত্র জালিয়াতি প্রমান হওয়ায় নিরঙ্কুশ ভাবে সরকারের পক্ষে রায় প্রদান করেন। এরপর মামলাটিভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য জেলা দায়রা জজ আদালতে রিভিশন করেন। যার সিভিল রিভিশন নং ৮/১৯। পরাজয়ের ভয়ে পুনরায় মামলাটি এডিশনাল-(১) আদালতে স্থান্তর করে আগামী ১৩/১১/২০১৯ তারিখে শেষ দিন ধার্য রয়েছে। অন্য দিকে এ জমি নিয়ে সরকার পক্ষকে বিবাদী করে আশাশুনি সহকারী জজ আদালত ও জেলা যুগ্ম -(২) আদালতে গত ইং ৮০/০২ ও ৮/০২ সালে সরকারের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে পৃথক ২টি মামলা করলে সরকার পক্ষ হাজির হয়ে জবাব দাখিল করলে পরাজয়ের ভয়ে বাদী পক্ষ সমসের বিনা তদবীরে খারিজ করে নেয় ২০১৫ সালে ৯৩ ও ৯৪নং খতিয়ানে বেওয়ারিশ ৮.৪৮ ও ৪.৫২ শতক জমি পুনরায় ০১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত করলে ২০০২ সালের কাগজ বাদ দিয়ে নতুন করে ২০১৫ সালে ৬১/১৫ ও ৫৩/১৫ মামলায় নতুন করে কাগজ জমা দিলে নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায় ২০০২ সালের দখলনামা বয়নামার যে নাম্বার ছিল। ২০১৫ সালের মামলায় দখলনামা বয়নামার কোন মিল নেই। আদালতের কাছে আইনজীবিদের প্রশ্ন এতবড় জালিয়াতি কাগজ পত্রের মামলা আদালতে চলতে পারে না। তারা আরও বলেন এ ধরনের কাজ যারা করে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা উচিৎ বলে আমরা মনে করি।