সচ্চিদানন্দদে সদয়,আশাশুনি থেকে: আশাশুনির বিভিন্ন হাটবাজারে ঈদের বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে।অভিঞ্জ মহল মনে করছেন,মানুষের এমন ভিড় আর ঈদের কেনাকাটায় করোনার ঝুঁকি বাড়তে পারে।কারন,জন সমাগমের এমনই স্থানই সংক্রমনের জন্য উপযুক্ত।যদি নতুন করে সংক্রমন বাড়তে থাকে তাহলে নিয়ন্ত্রন কঠিন হয়ে পড়বে।আশাশুনির বেশ কয়েকটি মার্কেট ও ফুটপত ঘুরে দেখা গেছে,স্বাভাবিক ঈদ বাজারের মতোই মানুষের ভিড় রয়েছে প্রতিটি স্থানে।অনেকেই দলবদ্ধ ভাবে এলেও কেউ এসেছেন পরিবার পরিজন নিয়ে।সাথে রয়েছেন শিশু থেকে বৃদ্ধরা।এদের একজন নাম না বলার শর্তে বলেন,পরিবারের ছয় সদস্যে নিয়ে এসেছেন ঈদের বাজার করতে।কিন্তু বাচ্চাদের মুখে মাস্ক নেই।মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,তারা মাস্ক পরে থাকতে পারে না।বাচ্চা মানুষ দীর্ঘক্ষন মাস্ক পরে থাকলে দম নিতে কষ্ট হয়।আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারের নীমতলা মোড়ের কাপড়ের গলির ভিতর দোকান গুলোতে চোখ পড়তে দেখা গেল এক প্রকার হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা।সবাই এসেছেন ঈদের কেনা কাটা করতে।কিছু লোকের মুখে মাস্ক থাকলেও স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন বলাই নেই।কসমেটিক ও জুতার দোকানে একই অবস্থা।বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক ডাক্তার বলরাম বিশ^াস বলেন,মার্কেট করতে পরিবারের সকল কে আসার প্রয়োজন নেই।পরিবারের দুই একজন গিয়ে সবার জন্য কেনা কাটা করে দ্রুত বাসায় ফেরা উচিত।অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।চিকিৎসকরা বলছেন,কাপড়,কসমেটিক,জুতা, এগুলো ক্রেতরা অনেকবার স্পর্শ করবে ফলে জীবানুর সংস্পর্শে আসতে পারে এবং সে গুলো প্রতিনিয়ত জীবানু মুক্ত করা সম্ভব নয়।আর এসব থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমন।কেননা যারা বাজারে আসছেন ক্রেতা বা বিক্রেতা,কার মধ্যে সংক্রমন রয়েছে তা অজানা।ফলে ঈদের বাজারে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ে আক্রন্ত হতে পারেন।বিষয়গুলোর প্রতি কতৃপক্ষের তদারকি করার বিশেষ প্রয়োজন,যাতে করে স্বাস্থ্য বিধি সঠিক নিয়মে প্রতি পালিত হয়।