প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ৩, ২০২৫, ৯:২৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৩, ২০২৫, ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
আশাশুনিতে ভিডব্লিউবি কার্ডধারীদের অছিলা বানিয়ে উদ্যোক্তাকে বিপর্যস্তের চেষ্টার অভিযোগ
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ঃ আশাশুনিতে দু'জন ভিডব্লিউবি কার্ডধারীকে অছিলা সাজিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তাকে বিপর্যস্তের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আসমাউল হুসনাকে লক্ষ্যবস্তু করে নানা প্রকার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
জানাগেছে, আসমাউল হুসনা ২০১৬ সালে পরিষদে উদ্যোক্তা হিসাবে কাজ পান। তিনি কম্পিউটার ব্যবহার করে সাধারণ কাজের মাধ্যমে আয়ের পাশাপাশি চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে সচিবের সহায়তায় পরিষদের কাগজপত্র কম্পোজ, কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরন ও সংরক্ষণ করে থাকেন। দু'জন কার্ডধারীকে নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে অনেক কথার ছড়াছড়ি চলছে। তাদের ব্যবহার করে উঠে আসা অভিযোগ সম্পর্কে কার্ডধারী কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের মোশাররফ মোড়লের স্ত্রী সালমিন নাহার সাংবাদিকদের জানান, আমি ৩০ কেজি চাউলের কার্ড পেয়েছি। এ পর্যন্ত সবগুলো (৩ কোটা) চাউল নিজে উঠিয়েছি। আমরা অতসব প্যাঁচগোজ বুঝি না, একদিন মাসুম আমার বাড়িতে যায় এবং বলে তোমার টিসিবি কার্ড করে দেব। তোমার কোন কার্ড আছে কি। আমি তার কথার লোভে পড়ে বলি না কার্ড নেই। সে ছলনা করতে এসেছিল বুঝতে পারিনি। সালমিন আরও বলেন, পরবর্তীতে আরেকজন আমাদের বাড়িতে এসে বলে, সাংবাদিক আসবে, আসলে বলবি আমার নামেরটা একজন তুলে খাচ্ছে। আমি বলতে পারবোনা জানিয়ে দেই। আমার কার্ডের চাল আমি তুলে খাই। এনিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। তাদের গা জ্বলছে কেন? প্রশ্ন করে তিনি বলেন, সাহায্য সহযোগিতা এনে দেয়ার ক্ষমতা নেই, আমাদেরকে নিয়ে তারা কি করতে চায়? আমার কার্ডের চাল আমি খাই, এনিয়ে কেউ ফায়দা লুটতে আসবেন না বলে তিনি ছাফ জানিয়ে দেন।
কুড়িকাহুনিয়া গ্রামে বসবাসকারী আকরাম মোড়লের স্ত্রী শাহিদা খাতুন জানান, ২০১৭ সালে আমরা বন্যতলা থেকে পাশের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামে আসি। সেখানে ঘরবাড়ি বেধে বসবাস করছি। এখানে আসার পর নির্বাচন অফিসে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করি। প্রতাপনগর ইউপিতে ট্যাক্স জমা দিয়ে থাকি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০২৩-২৪ চক্রে আমার নামে ৩০ কেজি চাউলের কার্ড হয়। সকল কোটার চাউল আমি তুলেছি, আমার কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এনিয়ে মিথ্যা অভিযোগ না করতে তিনি সকলকে অনুরোধ জানান।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সরকারি সহায়তার তালিকা সাধারণ প্রথমে মেম্বাররা করে চেয়ারম্যানকে দেন। চেয়ারম্যান কমিটির সদস্যদের নিয়ে চুড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করে সদস্যদের স্বাক্ষর করিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে ইউএনও অফিসে জমা দেন। উপজেলা কমিটির সভায় তালিকা ফাইনাল হয়ে থাকে। অথচ কম্পোজের দায়িত্বে থাকা উদ্যোক্তাকে বলির পাঠা বানান হচ্ছে। তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি যথাযথ ভাবে দেখার জোর দাবী জানিয়েছেন।
Copyright © 2025 দৈনিক সাতনদী. All rights reserved.