
সচ্চিদানন্দদে সদয়, আশাশুনি থেকে: এ বছর যেন বর্ষার ধরন নেই। প্রতিদিন প্রায় কালোমেঘ আঁধার করে বর্ষা নামছে।স্বস্তি মিলছে না শারদীয়া পূজা উৎযাপন কমিটির ও সনাতন ধর্মালম্বীদের। তার মধ্যে শারদীয়া পূজার বাজার জমে উঠেছে। আশাশুনি উপজলার অর্থনৈতিক নির্ভর করে মুলত ঘের ব্যবসার উপর। প্রকৃত পক্ষে এ বছর ঘের ব্যবসায় ব্যবসায়িরা মুলত খুব একটা লাভবান হতে পারেনি। তারপরও পূজার বাজার মোটা মুটি জমে উঠেছে। মুলত হিন্দু ধর্মের দূর্গা পূজাকে ঘিরে সমাজের প্রায় সর্বস্তরে অর্থনীতির সব শাখা সচল হয়ে উঠে। চাহিদা বাড়ে যাবতীয় পণ্যের। বাড়ে আয়,বাড়ে মুনাফা। পূজা উপলক্ষে আশাশুনিতে বড় একটা অংকের টাকার লেনদেন হয়। পূজোর বাজারে খরচের বেশীটাই যায় পোশাক সামগ্রীতে। শাড়ী,ধূতি,লুঙ্গি,শার্ট,প্যান্ট,গেজ্ঞি,জাঙ্গিয়া,মোজা,প্রভৃতি উৎপাদন কিনতে। পূজার বাজারে পোশাকের পরেই স্থান পায় প্রসাধন সামগ্রীর কেনা বেচা। শহর গ্রাম,সর্বত্রই এখন প্রসাধন সামগ্রীর বিপুল চাহিদা। সুগন্ধী সাবান,সেন্ট,ট্যালকম পাউডার, ক্রিম,লিপিষ্টিক,নেইল পালিশ,আলতা,চুরি,টিপ,গয়না। এবার সোনার মূল্য বেশী বিধায় জুয়েলারী বাজার তেমন একটা জমে উঠেনি। পূজা উপলক্ষে শিশুদের নতুন জুতা চাই চাই। এ চাহিদা মেটাতে দোকান গুলোয় নতুন মডেলের জুতো এসেছে। এই মডেল দিয়ে তারা পুজার বাজার ধরবেন বলে বয়েকজন ব্যবসায়ি জানালেন। পূজাকে কেন্দ্রকরে মিষ্টির চাহিদা বেড়ে যায়। দুধের দামবাড়ে বলে ভেজালও বাড়ে। টেলিভিশন,কম্পিউটার,মোবাইল ফোনের দোকানেও দু,চারজন আনা গোনা শুরু করেছে।অপর দিকে প্রতিমা নির্মান ও তার সাজ সজ্জা পোশাকের কথা এসে পড়ে। স্প্রে রং,চুল,সোলা,টিনের অস্ত্রাদি,শন,পেরেক,মাটি,বাঁশ ব্যবসায় ঢেউ ওঠে। কুমোর ছাড়াও যারা পূজোর প্যান্ডেল তৈরি করেন অর্থাৎ ডেকোরেটরের ব্যবসাতেও দোলা লাগেছে। বিক্রি বাড়েছে টিউব লাইট,এনার্জিবাল্বের। পশাপাশি ডাক,ঢোল,ব্যান্ড পািির্টও দলগুলো এই কটি দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। সামগ্রীক ভাবে পূজায় সব কিছুতে একটা আনন্দের রেশ থাকলেও অর্থনৈতিক ভাবে তেমন মুজবুত না হলেও আশাশুনিতে মোটা মুটি পূজার বাজার জমে উঠেছে।