
আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনির ফার্মেসিগুলোতে জ্বর, সর্দি-কাশি জাতীয় রোগের ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে জ্বর-ঠান্ডা জাতীয় রোগের ওষুধ প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিম্যালেরিয়াল, ভিটামিন সি, অ্যাজিথ্রোমাইসিন কিনতে ফার্মেসিগুলোতে এসব ঔষধ কিনতে ভীড় করছেন ক্রেতারা। এক এক প্রকারের ওষুধ বেশি কিনে মজুদ করেছেন অনেকে। অন্যদিকে ওষুধ কোম্পানিগুলো থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় ফার্মেসিগুলোতে এখন এসব ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা পাইকারি ও খুচরা ওষুধ বিক্রির অন্যতম প্রতিষ্ঠান রোগমুক্তি এন্ড দেবী ফাম্মেসীর প্রতিষ্ঠানটির মালিক নানরায়ন চন্দ্র পাল ও পাথর্ প্রতিম পাল জানান, গত চার মাসে প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিম্যালেরিয়াল, ভিটামিন সি, অ্যাজিথ্রোমাইসিন জাতীয় ওষুধ যে পরিমাণ বিক্রি হয়েছে, এখন তার অনেক বেশি পরিমাণে বিক্রিয় হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বিক্রয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ওষুধ কোম্পানিগুলোতে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। তবে তারা জানিয়েছেন, ওষুধ তৈরির কাঁচামালের সংকট রয়েছে। এ কারণে তাদের সরবরাহ করতে সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে আগামী ১৫/২০ দিন পর এসব ওষুধ আর বাজারে পাওয়া যাবে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রেতা তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের জন্য একটি ফার্মেসি থেকে জ্বরের জন্য ১০ পাতা নাপা, সর্দির জন্য ১০ পাতা অ্যালাট্রল ও কাশির জন্য তিন বোতল সিরাপ কিনেছেন। করোনা ভাইরাসের কারনে বাজার ঘাটে কম যাওয়ার জন্য তিনি এ ঔসধ পত্র কিনেছেন বলে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, বর্তমান সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় জ্বর, সর্দি-কাশি বা সামান্য গলা ব্যথা হতে পারে। আমাদের অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের প্রবণতা আছে। ওষুধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। মজুদ করার প্রবণতা থাকলে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করবে।