সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি থেকে: সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলা একটি দারিদ্র্যপীড়িত উপজেলা। এখানে হাটবাজারে কাজ করে বেশ কিছু সমবায় সমিতি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিও । দারিদ্র্য বিমোচনে নানা কর্মসূচি কিংবা গরিব মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সহায়তা ও সাফল্যের বিজ্ঞাপন বছরজুড়ে প্রচার করে এসব সমিতি ও সংস্থা। করোনা ভাইরাসের ফলে মানুষের জীবন যাত্রায় বিঘ্ন ঘটলেও দুর্গতদের পাশে পাওয়া যাচ্ছে না এসব গ্রাম্য সমিতি ও এনজিও গুলোর। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ সদস্য, ছোট খাট ব্যবসায়ী, শ্রমিক, ভ্যান চালক, ইজি বাইক চালক, মটর সাইকেল চালক, রাজমিস্ত্রী, শ্রমজীবি মানুষ প্রভৃতি। এ নিয়ে দুর্গত মানুষ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজসচেতন মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে অসন্তোষ। স্থানীয় পর্যায়ে গড়ে উঠা সমিতি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ক্ষুদ্রঋণই তাদের বহুল প্রচলিত কর্মসূচি। থেমে নেই তাদের কিস্তি আদায়। এ চিত্র আশাশুনির এগারটি ইউনিয়নের ২৪০ টি গ্রামের । করোনা ভাইরাসের কারনে আশাশুনির প্রত্যেক টি এলাকায় কমবেশি এই অবস্থা। দুর্গত এলাকাগুলোর প্রায় সব কটিতেই গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা,সার্স,জাগরনি চক্র,সহ এসব এনজিওর পাশাপাশি,স্থানীয় পর্যায়ে গড়ে উঠা সমিতি সহ ছোট বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রম রয়েছে।স্থানীয় পর্যায়ে সমিতি গুলো দৈনিক হারে সঞ্জয় ও লোনের কিস্তি আদায় করলেও করোনা কালীন তাদের সামাজিক কর্মকান্ড নেই। এ দুর্দিন এর মধ্যেও কিছু কিছু এনজিও প্রচারের পোস্টার, লিফলেট চোখে পড়ে। কিন্তু মানুষ যখন বিপদগ্রস্ত, তখন হাত গুটিয়ে বসে আছে অধিকাংশ এনজিও,স্থানীয় সমিতি ও সংস্থাগুলো। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের নারায়ন পুর, ঝাটিকাটা বড়দল ইউনিয়নের লক্ষীখোলা, জেলপাতুয়া কুল্যা ইনিয়নের পুরোহিত পুর, বাঁশতলা, শোভনালী ইউনিয়নের শংকরমনি, খালিশানি এলাকা ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে। স্বভাবতই দুর্যোগের মধ্যেও হাত গুটিয়ে বসে থাকা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন সমিতি ও এনজিওগুলো।
সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং এনজিওগুলোকে এ সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অহবান থাকলেও সোমবার পর্যন্ত কোনো বেসরকারি সংস্থা বা সংগঠনের উলোøখ যোগ্য ত্রাণ পায়নি এলাকার লোকজন যা পেয়েছে সরকারী পর্যয়ে ও কিছু ব্যক্তি পর্যায়ে।এ সময়ে সরকারের পাশাশাশি সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।