আশাশুনি প্রতিবেদক: মৌসুমের শেষের দিকে এসেই আশাশুনির প্রতিটি বাজারে বেড়েছে তরমুজের চাহিদা। এজন্য বিক্রেতারা অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি তরমুজ বিক্রি করছেন। তবে আশাশুনির তরমুজের বাজার চড়া ও বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। কেজি হিসেবে তরমুজ কিনতে গিয়ে অতিরিক্ত দামে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। মাঝে মধ্যে তরমুজের দাম নিয়ে ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হচ্ছে। তরমুজের বাজার এতো চড়া হলেও নেই প্রশাসনের তদারকি। ফলে যে যার মতো করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে প্রতিনিয়ত। আশাশুনির বুধহাটা বাজার, আশাশুনি সদর, বড়দলবাজার, কাদাকাটি বাজারে তরমুজের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতারা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। বাজারে এবার তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা না কিনে চলে যাচ্ছেন। এই গরমে মন চাইলেও অনেকে তরমুজ ছুঁয়ে দেখতে পারছেন না। পাইকাররা সরাসরি ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে আনেন। আবার অনেক চাষি তরমুজ নিয়ে পাইকারদের কাছে আসেন। তারা পিস হিসেবে কিনলেও বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। এ যেনো দেখার কেউ নেই। ক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজার থেকে একসঙ্গে অনেক তরমুজ কিনতে হয়, কিন্তু খুচরা বাজারে ভোক্তা তার প্রয়োজন অনুসারে কিনতে পারেন। এ সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা তরমুজ বাজারে সিন্ডিকেট বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন। যে কারণে পিস হিসেবে কিনে কেজি হিসেবে সব খুচরা ব্যবসায়ীরাই জোট বেধে তরমুজ বিক্রি শুরু করেছেন। এতে দ্বিগুণ লাভের আশায় এমনটা করা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।একজন তরমুজ ক্রেতা শে^তপুর গ্রামের জহিরুল ইসলাম বলেন, একেক দোকানে একেক দাম। দামের নির্ধারণ নেই। যে যার কাছে যেমন নিতে পারে। ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছে বিক্রেতারা। যদি প্রশাসন নজরদারি করে তাহলে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বন্ধ হবে।