সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি: সাতক্ষীরা-আশাশুনিতে বাসা-বাড়িতে, দোকানে চুরি বেড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই চুরির ঘটনা ঘটছে। ছিচকে ও গ্রিলকাটা চোরদের উপদ্রবে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, চুরির সময় কেউ দেখে ফেললে তাদের আঘাত করতে উদ্ধত্ত হচ্ছে। চোরচক্রের দৌরাত্ম্য বড় রকমের উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। উল্লেখ, চুরির সব ঘটনা থানা-পুলিশ পর্যন্ত যায় না। যে সব ঘটনা থানা-পুলিশের গোচরে আনা হয়, তারও অধিকাংশের ক্ষেত্রে মামলা হয় না, হয় জিডি; তারও তদন্ত হয় না ঠিকমতো। অনেক সময় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দিয়েও কাজ হয় না। থানা-পুলিশ চুরির বেশির ভাগ ঘটনার ক্ষেত্রেই কোনো আগ্রহ প্রদর্শন করেনা। পুলিশের অনীহা এবং ঝামেলার ভয়ে অনেকে থানা-পুলিশের স্মরণাপন্ন হতে চায় না। এসব নানা কারণে চোরের উৎপাত না কমে বরং বাড়ছেই। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় পুলিশের নিয়মিত টহলের অনুপস্থিতি এবং চুরির ঘটনায় তেমন কোনো প্রতিকার না পাওয়ার কারণে চোরদের বাড় এতটা বাড়তে পেরেছে। আশাশুনির বুধহাটা পুরিশ তদন্দ কেন্দ্র বেশ কয়েকদিন ধরে মাদকবিরোধী অভিযানে ব্যস্ত,কিন্ত তাদেও চোখের সামনে প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে সেটা তার খেয়াল রাথেন না।। সম্প্রতি আশাশুনির বুধহাটার নাথপাড়া,পেদ্দার পাড়ায় প্রতিদিন কোন না কোন বাড়ীতে চুরি সংঘঠিত হচ্ছে। আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে একই রাতে দুই বাড়ি ও তিন দোকানে দু:সাহসিক চুরি ও দস্যুবৃত্তির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা নগদ টাকাসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়েগেছ। চোরেরা এত বেপরোয়া যে,শ্রী উলার স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ততক্ষণে চোর ও দস্যুরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এব্যাপারে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক দীপঙ্কর বাছাড় দিপু জানান, এলাকায় একই সাথে কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। বাজারে কয়েকটি সিসি ক্যামেরা আছে, যার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িতদের প্রশাসন শনাক্ত করতে পারবে।আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের জানান, চুরির ঘটনা জানার সাথে সাথে পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতার করতে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।ভুক্তভোগীরা মনে করে, পাড়া-মহল্লায় নিয়মিত টহল, চুরির মামলার দ্রুত তদন্ত ও বিচার এবং পুলিশের কাছে তাদের যে তালিকা আছে তা ধরে গ্রেফতার অভিযান চালালে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ নিয়মিত এলাকায় টহল দিচ্ছে। ছিচকে চোরদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। একটি সমস্যার কথাও বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো চোরকে একাধিকবার গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই তারা ছাড়া পেয়ে একই কাজে জড়িয়ে পড়ে বলে তাদের দমন করতে বেগ পেতে হচ্ছে।