
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা): আশাশুনিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
বড় দুর্গাপুর গ্রামের মৃত ছিয়ামুদ্দিন গাজীর ছেলে জিএম শাহিনুর ইসলাম বাদী হয়ে কোদন্ডা গ্রামের আঃ আজিজের ছেলে সাদ্দাম হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় দাখিলকৃত লিখিত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, বাদী হাড়ীভাঙ্গা মৎস্য সেটের সেক্রেটারী। চাম্পাফুলের অমল কৃষ্ণ দফাদার জনৈক আজিজুলের আমেনা ফিস নামক মৎস্য কাটায় প্রায় ১৮ বছর যাবৎ মাছ বিক্রয় করত। অভিযুক্তরা অমল কৃষ্ণকে খুন জখমের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবী এবং ঘের পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করত। প্রাণ ভয়ে অমল মৎস্য কাটার মালিক আজিজুলের মাধ্যমে তাকে কম বেশী চাঁদার টাকা দিয়ে শান্ত করত। কিছুদিন যাবৎ অমল বাদীর মৎস্য কাটায় মাছ বিক্রয় করছে। গত ১৫ অক্টোবর রাত্র ১.৩০ টার সময় সাদ্দামসহ অজ্ঞাতনামারা কুড়াল, ছুরি, দা নিয়ে অমলের মৎস্য ঘেরে অনধিকারে প্রবেশ করে অমলের গলায় ছুরি ধরে খুন জখমের ভয় দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং প্রাণ ভয়ে তিনি টাকা দিতে স্বীকার করলে তারা ঘের হতে চলে যায়। বিষয়টি মৎস্য সেটের সভাপতি আকবর আলী খোকনকে জানান হয়। জানতে পেরে তারা বাদী ও অমলকে খুন জখম করার চেষ্টা চালাতে থাকে। এবং ১৮ অক্টোবর বেলা ১০.৩০ টার দিকে বাদী মোটর সাইকেলে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম ও অমল কৃষ্ণ দফাদার একত্রে সেট হতে বাড়ী ফেরার পথে কোদন্ডা আমতলা নামক স্থানে পৌছলে গতিরোধ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং পুনরায় এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী সহ খুন জখমের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। মৌখিক প্রতিবাদ করা মাত্রই তারা ছুরি বাহির করে চাঁদার কথা সেটের সভাপতিকে বলেছিস কেন জানতে চেয়ে লোহার রড দিয়া আঘাত করতে যায় এবং মোটর সাইকেলের পিছনে থাকা বাদীর চাচাতো ভাই আবুল কালামের ডান চোয়াল সহ ডান হাতে লামিয়া জখম প্রাপ্ত হয়। মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। স্বাক্ষীরা এগিয়ে এলে খুন জখমের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়। আহত আবুল কালামকে আশাশুনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করান হয়।