সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি: নিষেধ থাকা স্বত্ত্বেও বেপরোয়াভাবে বালু ও ইট বোঝাই ট্রলি চলাচল করছে আশাশুনির বিভিন্ন গ্রাম্য রাস্তার উপর দিয়ে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। আশাশুনির বুধহাটায় ইট ও বালু বোঝাই ট্রলির চলাচল বেড়ে গেছে। বুধহাটার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বেতনা নদী। নদীর স্থাপনা না মেনে বালু উত্তোলন হচ্ছে প্রতিদিন এবং ঐ বালু ট্রলির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া হচ্ছে। ভোরবেলা থেকে রাত্র পর্যন্ত প্রতিনিয়ত এই বালু ও ইট বোঝাই ট্রলি যাতায়াত করছে বুধহাটা সহ আশাশুনির গ্রাম্য রাস্তার উপর উপর দিয়ে। বালু ও ইট নিয়ে অবৈধ ট্রলি যেন গ্রাম্য রাস্তার উপর দিয়ে না চলতে পারে এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তারপর ও থেমে নেই বালু ও ইট বোঝাই ট্রলির যাতায়াত। এ বিষয়ে কোন প্রদক্ষেপ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। বালু ও ইট বোঝাই ট্রলি চলাচল এর কারনে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এই বালু ও ইট বোঝাই ট্রলির যাতায়াতের কারণে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। দেখা যায় বুধহাটার বেতনা নদীর ধার থেকে বালু নিয়ে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক ট্রলি যাতায়াত করে। এতে অনেক যানযটের সৃষ্টি হয়। শুধু যানজটই নয় রাস্তা ঘাটের অবস্থা ও বেহাল হচ্ছে দিন দিন। বুধহাটা কাছারি পাড়া,বুধহাটা সুবর্ন বনিক পাড়া সহ অনেক গ্রাম্য রাস্তা এই ট্রলি চলাচলের কারনে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বেপরোয়াভাবে ট্রলি চলাচলের কারণে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা যে কোন দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। ইতোমধ্যে এই অবৈধ ট্রলিতে কযেকজন স্কুল ছাত্রের প্রান গেছে। বুধহাটা বেতনা নদীর ধারে রয়েছে বুধহাটা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বুধহাটা খেয়াঘাট রোডে রয়েছে বুধহাটা বিবি এম কলেজিয়েট স্কুল। একটু পরেও কওছাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা। স্কুল ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু ট্রলির কারণে যাতায়াত করতে খুব কষ্ট হয়। বেআইনিভাবে কিভাবে বালু ও ইট বোঝাই ট্রলি চলাচল করে এটি এখন সবার প্রশ্ন ? মাঝে মাঝে ট্রলি চলাচলের বন্ধের উদ্যোগ নিলেও কিছুদিন পরে আবারও চলাচল করে ট্রলি। গ্রাম্য সড়ক দিয়ে যাতে অবৈধ ট্রলি চলাচল না করে এটাই বুধহাটাসহ আশাশুনিবাসীর দাবি। আবার কেউ কেউ বলছেন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ঐসব ট্রলিচালক দের জরিমানা করে অবৈধ ট্রলি বাজেযাপ্ত করা হোক। অপর দিকে বেতনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু তুলে পরিবেশের ক্ষতি করছে সেই সমস্ত বালু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক এ দাবি সচেতন মহলের।