সচ্চিদানন্দদেসদয়য়,আশাশুনি থেকে: আশাশুনির বকচরে পৈত্রিক সূত্রে ও অন্যান্য জমির মালিকের নিকট থেকে প্রাপ্ত ১৮৫ বিঘা জমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নির্দেশনাকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে জবর-দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও ভূক্তভোগী জানান, উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা মৌজায় বকচর গ্রামে কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দোকাটি গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও সাগর দীর্ঘ ২০ বছর এলাকার জমির মালিকদের নিকট থেকে হারী দিয়ে ডিড নিয়ে ৩৫০ বিঘা জমিতে মৎস্য চাষ করে এসেছেন। কিন্তু তাদের ডিডের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালে। ঘের মলিক মিজানুর রহমান আর ঘের করবেন না বলে জমির মালিকদের অগ্রিম জানিয়ে দেন। বছরের শেষে ও ডিডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রতি বছরের ন্যয় ঘেরের সাদা মাছ (গ্রাম্য ভাষায় তলা) বিক্রি করেন দেবহাটার জনৈক আলমগীর হোসেনের কাছে। ঘের সেচ চলাকালিন ওই ঘেরের উপর লোলুভ দৃষ্টি পড়ে তলা ক্রেতা আলমগীরের। গোপনে পূর্বের মালিকের ডিড ধরে নতুন করে ডিড করা শুরু করেন আলমগীর। কিন্তু, মিজানুর রহমানের ডিড ছিল প্রায় সাড়ে ৪শ বিঘার অধিক জমি। ওই সময় জমির মালিকগন ডিডকৃত বেশ কিছু জমি চতুরতার সাথে নিজেরা গনঘের করেছেন আবার মিজানুর রহমানের নিকট থেকে ভূয়া কাগজে হারীও তুলেছেন। ঘের মালিক প্রকৃত পক্ষে ঘের করে আসছেন সাড়ে ৩শ বিঘা জমিতে। আলমগীর সে মোতাবেক সরজমিনে ঘেরের ভেতরে নেই এমন এবং আছে এমন নিয়ে প্রায় ২শ বিঘা জমি ডিড করেছেন। এদিকে, পার্শ্ববর্তী পুইজালা গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র রবিউল ইসলাম ঘেরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঘেরের ভেতরে সরজমিনে আছে এমন প্রকৃত ৭৬ জন জমির মালিকের নিকট থেকে ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের জন্য ৫ বছর মেয়াদী ডিড নিয়েছেন। এ ছাড়া নিজেদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ও পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া মোট ১৮৫ বিঘা জমি এলাবাসির সাথে নিয়ে মাপ জরিপান্তে ঘেরের সেচ কার্য শেষে জমি শুকিয়ে যাওয়ার পর ভোগ দখলের নিমিত্তে ঘের প্রস্তুত শুরু করেন। সে মোতাবেক গত ২০ ফেব্রুয়ারী ঘেরের বাঁধ বাঁধার কাজ শুরু করেন। এমন সময় আলমগীর হোসেন বেশ কিছু ভাড়াটিয়া যুবক নিয়ে ঘেরে উপস্থিত হয়ে বাঁধের কাজে বাঁধা দেন। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ও ডিড গ্রহিতা শান্তি রক্ষার্থে উভয়ের মধ্যে বসাবসি করে শান্তিপূর্ণভাবে ঘের করার লক্ষ্যে বাঁধের কাজ বন্ধ রাখেন। কিন্তু, প্রতিপক্ষ আলমগীর দূর্বৃত্ত/দুর্দান্ত প্রকৃতির বেশ কিছু ভাড়াটিয়া যুবক নিয়ে নিজের ইচ্ছামত ঘেরে দখল নিয়ে অবস্থান করে জোর পূর্বক পানি উঠানো শুরু করেন। বিষয়টি ডিড গ্রহিতা আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ করলে থানা অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে এএসআই মিলন সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থানে পৌছে আলমগীরকে ঘেরে পানি উঠানো নিষেধ করে এবং জমির স্বপক্ষে কাগজপত্র নিয়ে থানায় বসাবসির জন্য বলেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে কাগজপত্রান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় থানা অফিসার ইনচার্জ মু. গোলাম কবির জমির মালিক ও ডিড গ্রহিতাদের জমি পর্যালোচনান্তে ভাগাভাগি করে সাইড করে বাঁধ শেষ করার পর ঘেরের কার্যক্রম চালানোর জন্য উভয় পক্ষকে নির্দেশনা দেন। কিন্তু, ওসি মু. গোলাম কবিরের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অন্য এলাকা থেকে আশা আলমগীর ভাড়াটিয়া লোকজন সো করে পেশী শক্তির বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পুরা সাড়ে ৩শ বিঘা জবর দখলের ষড়যন্ত্রে পানি উঠানো অব্যহত রেখেছে। অন্য জমির মালিক ও ডিড গ্রহিতার আলাদা বাঁধ দিতে না দেয়ার পায়তারায় বেশ কিছু পোনাও একধারে অবমুক্ত করেছেন বলে ভূক্তভোগী সূত্রে জানাগেছে। এ কার্যক্রমে বাঁধা দিতে গেলে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলেছে ঘেরে অবস্থান করা আলগীরের ভাড়াটিয়া যুবকরা। এঘটনায় জমির মালিক ও ওই এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের বক্তব্য বরিাগত আলমগীরের খুটির জোর কোথায় ? সে থানা পুলিশের অবজ্ঞা করে দেদাচ্ছে কাহকে তোয়াক্কা না করে ঘেরে পানি তুলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চলেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে যে কোন মুহুর্তে কঠিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বিরাজ করছে বলে এলাকাবাসি জানান। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী ডিড ও জমির মালিকানা সূত্রে প্রাপ্ত ১৮৫ জমি প্রাপ্ত রবিউল ইসলামসহ ডিড প্রদানকারীগন।