
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ঃ আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে চুরির দু’দিন পরে গভীর রাতে বাড়িতে ঢোকার প্রতিবাদ করায় মালিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে প্রকাশ্যে মারপিট করে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে থানায় লিখিত এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০.৩০ টার দিকে কাপসন্ডা ও গদাইপুর এলাকায়।
কাপসন্ডা গ্রামের মৃত আবু তালেব গাজীর ছেলে নজরুল গাজী বাদী হয়ে গদাইপুর গ্রামের আইয়ুব গাজীর ছেলে সুজন গাজী, মোস্তফা সরদার (খোকা) এর ছেলে আরাফাত সরদার, হুমায়ুন কবির ওরফে ভুটুর ছেলে সাইফুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলেন, রাস্তার পাশে তার বসত বাড়ী সহ দোকান ঘর আছে। গত ৫ অক্টোবর রাত্র ৯ টার দিকে তিনি ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে ঘের পাহারায় যায়। রাত্র ১১.৩০ টায় বাড়ীতে ফিরে দেখে দরজার তালা ভাঙ্গা। তার ডাকচিৎকারে স্বাক্ষীরা গিয়ে দেখেন বাক্সে থাকা নগদ ১,৮০,০০০ টাকা, ১,০০,০০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার, ভোটার আইডি কার্ড, ব্যাংকের চেক বই চুরি হয়েছে। এব্যাপারে বিভিন্ন স্থানে খোজ নিয়ে আসছিলেন তিনি। গত ৭ অক্টোবর দিবাগত রাত্র ১.৩০ টার দিকে বাড়ীর প্রাচীরের মধ্যে শব্দ হলে নজরুলের ঘুম ভেঙ্গে যায়। টর্চ লাইট নিয়ে ঘরের বাইরে গিয়ে দেখে সুজন ঘরের পূর্ব পাশে দেওয়ালের গায়ে দাড়িয়ে আছে। ধরধর বলা মাত্রই পাশ্ববর্তী তার শ্বশুর বাড়ীর বেড়ের মধ্যে চলে যায়। সুজনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ডেকে তাকে ধরার চেষ্টা করলে সম্ভব হয়নি। তখন সুজনের পিতার কাছে মোবাইলে জানালে সকালে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান। ৮ অক্টোবর সকাল ১০ টার সময় অভিযুক্তরা বাদীর বাড়ীতে ঢুকে নজরুলের জামার কলার ধরে পিচের রাস্তায় টানতে টানতে গদাইপুর ঠাকুর বাড়ী সংলগ্ন পলাশের চা এর দোকানের সামনে রাস্তার উপর নিয়া সুজন বলে, আমি চুরি করেছি বেশ করেছি, তুই কি করবি বলে সবাই মিলে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেলাফোলা রক্তাক্ত জখম করে। লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করতে গেলে সামান্য সরে যাওয়ায় উক্ত আঘাত তার বাম কাধে লাগায় গুরুতর ফোলা জখম হয়, পরে নির্মম ভাবে মারপিট করে গুরুতর ফোলা জখম করা হয়। স্বাক্ষীরা সহ আশপাশের লোকজন উপস্থিত হলে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তারা চলে যায়। তাকে আশাশুনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ হতে প্রাথমিক চিকিৎসা করান হয়।