
সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউয়ে গোটা দেশ যখন হাফিয়ে উঠেছে, তখন আশাশুনি হাসপতালে স্যাম্পল কালেকশান অনিয়মিত ও থমকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সাতক্ষীরা জেলা এখন দেশের মধ্যে অতি সংক্রমিত জেলার অন্যতম। প্রতিদিন হাসপাতালগুলো রোগি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। আশাশুনি উপজেলাও জেলার মধ্যে বেশী সংক্রমিত উপজেলার মধ্যে একটি। এখানে প্রায় প্রতিদিন করোনা রোগি শনাক্ত হচ্ছে। সরকার তথা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা রোগি শনাক্তে দ্রুত সময়ে ফলাফল দিতে “র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট” এর উদ্যোগ নিয়েছে। এরই আওতায় আশাশুনি হাসপাতালে র্যাপিড এন্টিজেন টেষ্ট শুরু করা হয়। কিন্তু নিয়মিত টেস্ট না করা, মাঝে মধ্যে একেবারেই টেস্ট বন্দ রাখা এবং সকল এলাকার মানুষ বিষয়টি না জানার কারণে এলাকার করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে থাকা মানুষ থেকে যাচ্ছে। সাতক্ষীরায় গিয়ে টেস্ট করানো গ্রামের সাধারণ মানুষ ভালভাবে নিচ্ছেনা। আবার অনেকে অতদূরে গিয়ে টেস্ট করানোর সমর্থ না থাকা এবং অসচেতনাবসত অধিকাংশকে টেস্ট করানো হচ্ছেনা।
আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সপ্তাহে দু’দিন করে (শনিবার ও মঙ্গলবার) “র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট” করানোর ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাও নিয়মিত হচ্ছেনা। অনেকবার রোগি হাসপাতালে গিয়ে টেস্ট না করাতে পেরে ফিরে গেছেন। শনিবার (৩ জুলাই) একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। করোনার মহামারির সময় এভাবে খুবই জরুরী বিষয়টি অবহেলায় কিম্বা যে কোন কারনে হোক বন্দ রাখার ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যায়। যদিও হাসপাতালটিতে জনবল সংকট আছে। তারপরও যে কোন ভাবে হোক টেস্ট বন্দ না রেখে চালিয়ে নেওয়ার বিকল্প এমূহুর্তে এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেনা।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুদেষ্ণা সরকার করোনা আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ থাকায় আরএমও ডাঃ দিপন বিশ্বাসের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান, সপ্তাহে দু’দিন র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয়ে থাকে। জনবল সংকটসহ নানাকারণে শনিবার কাজ করা সম্ভব হয়নি। এখন থেকে নিয়মিত টেস্ট চালু রাখার চেষ্টা করা হবে।