
আশাশুনি প্রতিবেদক: কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে আশাশুনি উপজেলায় আমন ধানের বীজতলা নিমজ্জিত হওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত উঠেছে।
উপজেলার সকল ইউনিয়নে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে আছে। একাটানা ২/৫ দিন বৃষ্টিপাত হলে বৃষ্টির পানি ধারন ক্ষমতা যেমন উপজেলার বিলখালগুলোর নেই, তেমনি নেই পানি নিস্কাশন ব্যবস্থাও। উপজেলার কাদাকাটি, দরগাপুর, কুল্যা, খাজরা, বুধহাটা ও বড়দল ইউনিয়নে আমন ধানের চাষ বেশী হয়ে থাকে। ধান চাষীরা বৃষ্টির আগমনে বীজতলার কাজ শুরু করেছেন। মৌসুমের শুরুতে বীজতলা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। সাথে সাথে অনেক চিংড়ী চাষের ঘেরও পানিতে তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি এই পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না করা যায়, তাহলে বীজতলা সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে চাষী আসাদ, সবুজ ও বাবুসহ কাদাকাটি এলাকার অনেক আমন চাষি জানান, তাদের বিভিন্ন জাতের আমন ধানের বীজতলা তৈরি করেছে। কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির কারণে বীজতলা জলমগ্ন হয়। প্রচুর বৃষ্টির কারণে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। এমুহূর্তে যদি পানি নিষ্কাশন করা না যায়, তাহলে তাদের বীজ তলার বহু ক্ষতি হয়ে যাবে। তারা আরো জানায়, বর্তমান পানি নিষ্কাশনের খালগুলো দখলদারদের দখলে চলে গেছে। তারা নেট পাঠা দিয়ে আটকে রেখেছে। ফলে পানি নিষ্কাশনে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে গেটের খালগুলোতে নেটপাটা দিয়ে আটকে রেখে মাছ চাষ করায় সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। এব্যাপারে কাদাকাটি গ্রামের চাষী গোলাম রাব্বি জানান, অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ ও সরকারি খালগুলো দখলদাররা আটকে রাখার কারণে তাড়াতাড়ি পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। যে কারণে চিংড়ির ঘের গুলোও হুমকির মুখে পড়েছে। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ক্ষুদ্রচাষী আছাদ জানান, তিনি আশাশুনি কৃষি অফিস থেকে ৭২/২৭২০ বীজ ধান পেয়েছেন। সেই বীজ ধান বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু এই ভারী বর্ষণের কারণে সম্পূর্ণ পানিতে প্লাবিত হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশিত না হলে তাকে আবার ধান কিনে বীজতলা করতে হবে। ধান কিনে পুনরায় বীজতলা তৈরি করার সামর্থ তার নেই।