কুলিয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের বুলারআটি গ্রামে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে এক যুবক আটক হয়। গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে অপকর্ম প্রমানে মারপিট, ক্ষমা চেয়ে এবারের মতো রেহাই দেয়া হয়েছে। যুবকের নাম আসাদুল ইসলাম (২৮)। সে বুলারআটি গ্রামের বাবা মৃত সোহেল ও মাতা হারানির ছোট ছেলে। সে আলিপুর হাটখোলায় ফলের ব্যাবসা করে।
এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, আসাদুলের বিরুদ্ধে অনেক নারীর সাথে অবৈধ মেলামেশার অভিযোগ আছে। একই গ্রামের মনা মল্লিকের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননীর সাথে ২ সন্তানের জনক নারী লোভী আসাদুল মনার বাড়িতে যাতায়তের এক পর্যায়ে তার স্ত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রতিবেশীরা আসাদুলের চালচলন খারাপ দেখার পরে মনার বাড়িতে আসতে নিষেধ করে। তার পর থেকে আসাদুল ও তার প্রেমিকার সাথে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে দেখা করত।
সেই সুবাদে গত সোমবার দুপুরে মনার স্ত্রী তার বোনের বাড়ি আলিপুর ঘোলা গ্রামে বেড়াতে যায়। প্রেমিক আসাদুল ও তার প্রেমিকার বোনের বাড়িতে যায়। বোনের বাড়ির এলাকাবাসী মনার স্ত্রী ও আসাদুলের এক ঘরে দেখে সন্দেহ হলে আসাদুলকে আটকে রেখে তার বাড়িতে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে তার বাড়ি থেকে তার ভাই সহ তার পক্ষের লোকজন যেয়ে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে এবং একই দিন সন্ধ্যার পরে তার ১নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আবদুল্লাহ ও গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শালিশ হয়।
শালিশে আসাদুল দোষ প্রমানিত হয় এবং তাকে মনার বাড়িতে আসতে নিষেধ করা হয়। শালিশদ্বাররা এলাকার পরিবেশ খারাপ করার জন্য নারী লোভী আসাদুলকে মারপিট করে ও মনার স্ত্রীর সাথে আর কখনো দেখা করবেনা এই মর্মে মৌখিক অঙ্গিকার দিয়ে এবারের মতো রেহাই পায় এবং আসাদুলকে তার ভাইদের কাছে দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে এমন ধরনের অনৈতিক ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।