নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত পাঠক নন্দিত পত্রিকা দৈনিক সাতনদী পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা পেলেন আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে নৌকায় বসবাসকারী বানভাসি পরিবার।
গত ৫ নভেম্বর সাতনদী পত্রিকার প্রথম পাতায় "ভিটাবাড়ী-মানবতা নদীগর্ভে বিলীন, নৌকায় সন্তান জন্ম দিলেন মিনারা বেগম" শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। মুহ‚র্তের মধ্যেই সংবাদটি জেলাব্যাপী ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসাইন খান প্রতাপনগরে গমন করেন এবং অসহায় ইয়াকুব আলীর পরিবারের পাশে দাড়ান। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনকে সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসাইন খান অসহায় পরিবার ও নবজাতক শিশুটির খোঁজ খবর নেন এবং পরিবারটি জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ভাঙ্গন কবলিত স্থান গুলোতে দ্রæত বাঁধ নির্মাণের জন্য কাজ করে চলেছেন। বাঁধ নির্মাণ শেষে ভিটাবাড়ী হারানো গৃহহীণ পরিবার গুলোর তালিকা করে তাদেরকে প‚র্ণবাসনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আগামীতেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বানভাসি মানুষের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসাইন খান।