
আহাদুর রহমান জনি: এলজিইডির গ্রামীন সড়ক সংষ্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৮৩৫ মিটার সড়ক সংষ্কারে আমা ও আধলা ইট দিয়ে রাস্তাটির ম্যাকাডোম এর কাজ করা হয়েছে। কাজ বন্ধ করে অবিলম্বে ১নং ইটের খোয়া না দিলে কয়েকমাসের মধ্যেই রাস্তাটি নষ্টের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
এলজিইডি’র ‘গ্রামীন সড়ক’ মেরামত ও সংরক্ষন প্রজেক্ট এর অধীনে ২৮৭৮২৫১১২নং সড়কের উন্নয়নের জন্য টেন্ডার ঘোষণা করা হয়। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা মাধপ কর্মকারের বাড়ী থেকে খোকন হ্যাচারী ও নলকুড়া ফজলুর বাড়ী পর্যন্ত ৮৩৫ মিটার গ্রামীন সড়ক সংস্কারের এ টেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত । টেন্ডারের প্রাক্কলিত মূল্য ৩৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১০৭টাকা। ৫% নিন্ম (৩২লক্ষ, ৪৩হাজার, ৪০১টাকা) দর দিয়ে কাজটি পান মেসার্স রাজিব এন্টারপ্রাইজ। ওয়ার্ক ওর্ডার অনুযায়ী কাজ শুরু তারিখ ছিলো ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ও শেষের তারিখ ছিলো ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি। টেন্ডার পাওয়ার পর বিলম্বে কাজ শুরু করে ঠিকাদার। তবে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন যে, রাস্তায় ২ ও ৩ নং ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সরজমিন পরিদর্শনে যেয়ে দেখা যায়, এই পুরো রাস্তাতেই ২ ও ৩ নং ইট দিয়ে ম্যাকাডোম এর কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ইটগুলো রাস্তার ওপর এনে ভাঙার কথা থাকলেও তা এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি আাঁখি ভাটা থেকে ১নং ইটের বদলে ২ ও ৩ নং ভাঙ্গা ইট কিনে ভাটা থেকে ভেঙে রাস্তায় বিছিয়েছেন। এদিকে ইট বিছানোর কয়েকদিন পরই ইট গুরো হতে শুরু করেছে। এলাকাবাসী অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন এই রাস্তা কয়েকদিন মাত্রই টিকবে। তবে এই গ্রামীন সড়ক সংষ্কারের কাজ বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলীকে দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে এত অনিয়মের বিষয়ে তিনি নীরব দর্শকের ভ‚মিকা পালন করেন।
স্থানীয় মাসুদুর রহমান জানান, এই আমা ইটের রাস্তা কয়দিন টিকবে তা ঠিকাদারও জানে না। আমরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করবো। কয়েকদিনের মধ্যেই আবার ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
আরেক বাসিন্দা মি. মিঠুন বলেন, এই রাস্তাটি করার চেয়ে না করাই ভাল ছিলো। কারন এটাও বেশিদিন টিকবেনা। সামনের বর্ষাতেই ভেঙে যাবে।
অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদার মোঃ রাজিব ফরহাদের সাথে কথা হলে তিনি সাতনদীকে জানান, আমিও সাংবাদিক। আমরা এক জায়গায় বসে বিষয়টা মিমাংসা করলে হয়না।’ তবে সাংবাদিক হয়ে অনিয়ম করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আজমের কাছে এসব বিষয়ে জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নম্বরটি বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।