বেশ কিছু দিন যাবত বিষয় টা নিয়ে অনেক তোল পাড় তাই একটু কিছু বলার তাগিদ অনুভব থেকে আমার একান্ত অনুভূতি প্রকাশের চেষ্টা মাত্র ।
মাঝখানে একটু শিবের গীত না গাইলে মনটা অস্হীর থাকবে না তাই ।দুর্যোগের সাথে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অঙ্গাঙ্গি জড়িত । দেশের রাজনীতি,সমাজনীতি আর সর্বস্তরের নৈতিকতা মাপকাঠিতে নির্ণয় করার মতো অবস্থা আমার মতো নির্বোধের নেই তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ধরুন ত্রাণ নিয়ে কথা । আমার মতের সাথে কারো অমিল হবে সেটা ই স্বাভাবিক । এইখানে জনপ্রতিনিধি মানে চেয়ারম্যান মেম্বার রাই বোঝাচ্ছে ।একটু অতীতের দিকে না দেখলে অসম্পূর্ণ থেকে যায় তাই অল্প বিস্তর করবো ।আমরা যারা একসময় জনপ্রতিনিধি ছিলাম তখন ও এই সমস্ত কার্যক্রম ছিল ।এটা একটা বড়ো চ্যলেন্জ একজন জনপ্রতিনিধির জন্য সবার চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে বিলিবণ্টন করে তৃপ্তির হাসি নিয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়া খুবই কঠিন ।জিনিসের অপ্রতুলতা আর মানুষের চাহিদার যোজন যোজন পার্থক্য ।
এক্ষেত্রে একজন পার্লামেন্ট সদস্য খুব সহজেই চামড়া বাঁচানোর মতো অবস্থানে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে রয়েছেন । আর বাংলাদেশের অনেক দিনের একটা ধারা পরিলিক্ষত এম পি মন্ত্রীদের মোটামুটি একটা অংশ দায়িত্ব নিয়ে জনগণের পাশে থেকে জনসেবা দিতে পারছেন না তা চোখ মেলে তাকালেই পরিস্কার ।পত্রিকায় তাকালেই তা মোটামুটি ধারণা করা সম্ভব । সারা বছরে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র নবীনবরন আর অত্যন্ত নিম্নমানের ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের বেঁচে থাকার জানান দিয়ে দিনাতিপাত করা মাত্র । সেক্ষেত্রে একজন চেয়ারম্যান এর সাথে এম পি দের তুলনা করা বড়ো কথা না। বড়ো কথা এই খানে তৃনমূল পর্যায়ে একজন চেয়ারম্যান কে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কতোহাজর সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়।সাধারণত এলাকার মানুষেরা একজন এমপির কাছে যেতে হয় শুধুমাত্র কোন ভালোকাজের অভিষেক,উদ্বোধন,অথবা সাজগোজ করা সুনসান একটা অনুষ্ঠানে চিফ গেস্ট হয়ে হাজির হওয়া ।সুযোগ সুবিধা তো বলার অপেক্ষা রাখে না ।সেই খানে একজন চেয়ারম্যান পাঁচহাজার টাকা সম্মানী নিজ খরচে যাতায়াত আর বছরে কয়েক হাজার মানুষের সাহায্য প্রার্থনার সমাধান করতে হয়। রাজনীতির সাথে সমাজ নীতি ভেঙ্গে চুরমার তা বলার অপেক্ষা রাখে না । রাজনৈতিক বিভাজনের ধারা উপর থেকে নিচের স্তর পর্যন্ত যেভাবে বিস্তৃত সেখানে ভালো মানুষের দ্বারা রাজনীতি করা অনিশ্চিত । তৃনমূল পর্যায়ে এমন ও অনেকে কেই নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে যাদের মানুষ পছন্দ করা তো দুরে থাক নাকে রুমাল দিয়ে পাশ কাটানোর মতো অবস্থা । একজন মানুষের গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠিকেই আগে নেতা নির্বাচন করার সরল পথ ছিল । বর্তমান সময়ে সবচেয়ে সমালোচিত আর দাগি টাইপের মানুষ গুলো রাজনৈতিক নেতৃত্ব পেয়ে রাজনীতি কে বিষিয়ে তুলছে । শুধুমাত্র প্রশাসনকে দোষারোপ করে পার পাওয়া যাবে না ।সবার চোখ কান খোলা তারাও যখন এসব রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি দেখে তাদের কাছে কি প্রত্যাশা করতে পারি ।সবমিলিয়ে চরম অবস্থাতে চলছে সবকিছুই ।এটা একদিনে তৈরি হয়নি ।কয়েক যুগের অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফসল মানুষের জীবন অতিষ্ঠ ।যে কথা বলছিলাম ত্রানের মালামাল আর তছরুপের কাহিনী নিয়ে দেশময়
সরব। বিশাল এই কর্মকাণ্ডে কতোজন এই অপকর্মে জড়িত । একজন চেয়ারম্যান এর যে ধরণের প্রতিপক্ষ আর সামাজিক বাঁধা আর রাজনৈতিক বিভাজনের স্বীকার হয়ে পথ চলতে হয় তা সবার জানা। তার মধ্যে থেকে অবশ্যই নিয়ম মেনে ই সব কিছু করার বিকল্প নেই ।
তবে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড আর গতিশীল উন্নয়নমুখী কাজের ফলকে মানুষের কাছে দৃশ্যমান করতে রাজনৈতিক বিভাজনের সুরাহা খুবই জরুরি ।আশার আলো রাষ্ট্র এ বিষয়ে কঠিন অবস্থানে তাই এর বিস্তার রোধ করা সম্ভব ।
সবশেষে বলতে চাই ত্রানের মালের সঠিক বন্টন হউক । হয়তো বা সবাইকে খুশি করা যাবে না । কিন্তু নিজের কাছে পরিষ্কার থাকাটা জরুরি । এই দুঃসময়ে সবাইকে ধৈর্য্য ধারণ করে সময় টাকে পার করার বিকল্প নেই । মানুষ হিসেবে একে অপরের প্রতি সহনশীল আচরণ কাম্য ।
শুধুমাত্র উড়ো খবরের আশায় না ঘুরে বাস্তবতা নিয়ে চলার অনুরোধ করছি ।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক