[embed]https://youtu.be/rbqhGuNfrDI[/embed]
হাবিবুর রহমান, আশাশুনি থেকে ফিরে:
দ্বিধাবিভক্ত আশাশুনি আওয়ামী লীগ ঐক্যব্ধ প্রয়াস খোলপেটুয়া নদীর ভেঙ্গে যাওয়া বেড়ি বাঁধ স্বেচ্ছা শ্রমে পূননির্মান সম্ভব হয়েছে।
সরজমিনে জানা যায়, আশাশুনি সদর ইউনিয়নে খোলপেটুয়া নদীর ৯টি পয়েন্টে ভাঙ্গন ধরে শক্তিশালী আমপানের আঘাতে। এর মধ্যে ৭টি জায়গায় ভাঙ্গন স্বেচ্ছা শ্রমে হাজার হাজার মানুষ বেঁধে ফেলে। এই কঠিন কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে রাত দি মাঠে থেকে কাজ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম, সিনিয়র সভাপতি এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পদক ও আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স.ম. সেলিম রেজা মিলন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি সম সেলিম রেজা। প্রাকৃতিক এ দূর্যোগে কাধে কাধ মিলিয়ে দ্বিধাবিভক্ত এসব নেতাদের কাজ করতে দেখা গেছে।
এ্যাড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু বলেছেন, কোন মতবিরোধ এখন দেখার বিষয় নয়। ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে বাঁধ নির্মান করে জনগনকে বাঁচাতে হবে।
এ বিএম মোস্তাকিম বলেছেন, ৯টি পয়েন্টে বাঁধ ভাঙলেও হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন কাজে লাগিয়ে ৭টি পয়েন্টের ভাঙ্গন কবলিত বাঁধ নির্মান করা হয়েছে। দুটি পয়েন্টের বাঁধ স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁধা সম্ভব নয়। এগুলি বাঁধার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে আমরা টেকসই বাঁধ চাই। এটি জনগনের দাবি। আশাশুনি সদর ইউপির চেয়ারম্যান স,ম, সেলিম রেজা মিলন বলেন, হাজার হাজার মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মানের জন্য। সেক্ষেত্রে আমরা সফলও হয়েছি। দুটি স্থানে বাধ নির্মানের জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।
কৃষকলীগের সভাপতি স.ম. সেলিম রেজা বলেন, দূর্নীতিবাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জন্য বাঁধ ভেঙেছে। এর বিচার হওয়ার দরকার।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ নির্মানে সেনা বাহিনী কাজ শরু করেছে।