বাণিজ্য ডেস্ক:
বিদেশ থেকে কসমেটিকস পণ্য আমদানি করা হলেও পণ্যের গায়ে নেই কোনো সিল। এতে বেশ কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। তবে ব্যবসায়ীরা দোষ চাপাচ্ছেন আমদানিকারকদের ওপর।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডে এ অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার।
ভোক্তা অধিদফতরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, এ এলাকার অভিজাত শপিং সেন্টারগুলোর কসমেটিকসের দোকানে অভিযান চলছে। বিদেশ থেকে যে সব পণ্য আমদানি করা হয়েছে সেসব পণ্যের গায়ে আমদানিকারক কোম্পানির সিল আছে কিনা সে বিষয়টির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দোকানগুলোতে মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনো পণ্য রয়েছে কিনা যাচাই করা হচ্ছে।
এসময় পণ্যের গায়ে আমদানিকারকদের সিল না থাকায় ও কোনো রশিদ দেখাতে না পারায় পণ্য অবৈধ ঘোষণা করে তিনটি দোকানকে ৫ হাজার করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার।
সিল ব্যবহার না করাকে ব্যবসায়ীদের অপকৌশল উল্লেখ করে মনজুর শাহরিয়ার আরও বলেন, আমদানিকারকের সিল ছাড়া কোনো পণ্য পাওয়া গেলে আগামীতে দোকান বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, রমজান এলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল পণ্যগুলো এসব কসমেটিকসের দোকানে সরবরাহের পায়তারা করে। আর ব্যবসায়ীরাও অধিক মুনাফা লাভের আসায় এ ধরনের পণ্য বিক্রি করেন। নকল পণ্য বিক্রি রোধে গোপন টিমের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করা হচ্ছে।
পরিচালক বলেন, প্রতিটি অবৈধ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনা হবে। ভোজাল পণ্য পেলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে ও এ বছর ঈদের বাজারে পোশাকের দাম নিয়ে কারসাজি করলে আউটলেট বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তবে জরিমানা করা হলেও ব্যবসায়ীদের দাবি পণ্যগুলো অবৈধ নয়।
তারা বলেন, দুই একটি পণ্যে আমদানি সিল না থাকায় জরিমানা করা হয়েছে। মূলত আমদানিকারকরা পণ্যে সিল বা স্টিকার লাগায়নি। তবে এখন থেকে সবপণ্যে সিল ব্যবহার করতে আমদানিকারদের আহ্বান করা হবে।
আর অভিযান শেষে ভোক্তা অধিদফতর জানায়, প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতামূলক ভাবে জরিমানা করা হয়েছে। আবারও অবৈধ পণ্য পেলে দোকান বন্ধ করে দেয়া হবে। এছাড়া অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানানো হয়।