সাতনদী অনলাইন ডেস্ক: গ্রুপ স্টাডির কথা বলে ডেকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগানে ধর্ষণের পর এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই শিক্ষার্থী মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলে পড়তো। মূল অভিযুক্তসহ ৪ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনরা জানান,অভিযুক্ত ধর্ষক নিজেই ফোন করে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর খবর জানান।
বুকফাটা আর্তনাদে নির্যাতিতা মা বলছেন, ‘আমার মেয়েকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার মেয়েকে ট্র্যাপে ফেলে মেরে ফেলা হয়েছে।’মায়ের মুখে বিচারের দাবি। পরিবারের বড় সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা। বারবার ডুকরে কেঁদে উঠছেন প্রিয় সন্তানের জন্য।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী রাজধানীর ধানমণ্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী । বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে কলাবাগানের ডলফিন গলির বাসায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত ওই কলেজ ছাত্র। ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণ হলে নির্যাতিতাকে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত নিজেই। এর মধ্যে নির্যাতিতার মাকে ফোন করে মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায় সে। হাসপাতালে আসার আগেই মাকে ফোন করে মেয়ের মৃত্যু জানান অভিযুক্ত ধর্ষক। এমন ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি তার।
নির্যাতিতার মা বলেন, আমার মেয়েকে নির্মম ভাবে মারা হয়েছে। ওর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ওর হাতে দাগ আছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। কেন আমার মেয়েকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এভাবে মারা হলো।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকেই আটক করা হয় ধর্ষককে। পরে আরো একই স্থান থেকে আরো তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি এর আগেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে রাজধানীর ম্যাপেল লিফ স্কুলের ‘এ’ লেভেল পড়ুয়া এ শিক্ষার্থী। নির্যাতিতার মা বলেন, আমার মেয়ের বান্ধবীর ভাই আমাকে বলেছে ওই ছেলেকে তারা চেনে। ওই ছেলে আগেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। ওর আচরণ ভাল না।
প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। তবে ময়না তদন্তের পরেই বোঝা যাবে প্রকৃত ঘটনা। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।