
অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ব্যাপক জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে অধস্তন আদালতসমূহের কার্যক্রম সীমিত করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ আইন সমিতি। শনিবার ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কেশব রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ আহবান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এক কঠিন সর্তকবার্তায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে সামাজিকভাবে মানুষ থেকে দূরে থাকা তথা জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া নানা বিশেষজ্ঞ মহল থেকে সামনের দুই বা তিন সপ্তাহকে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে সতর্কবার্তা প্রদান করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আদালতসমূহে প্রতিদিন যে বিপুলসংখ্যক বিচারপ্রার্থী-জনগণ ও আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের জনসমাগম হয় তার সংখ্যা কারাবন্দি-আসামিদের তুলনায় কয়েকশ গুণ বেশি। আর ঢাকা ও চট্টগ্রামের অধস্তন আদালতসমূহে তো প্রতিদিন লক্ষাধিক লোকের জনসমাগম হয়, যা এই মুহুর্তে আদালতসংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই বড় একটা উদ্বেগের বিষয়।
বিজ্ঞপ্তিতে কমপক্ষে পরবর্তী দুই সপ্তাহের জন্য কেবলমাত্র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসমূহে জামিন ও রিমান্ড শুনানির মতো অপরিহার্য বিষয়সমূহের ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে অধস্তন আদালতসমূহের কার্যক্রম চলমান রেখে অবশিষ্ট সকল কার্যক্রম মুলতবি রাখতে প্রধান বিচারপতির প্রতি আহবান জানায় আইন সমিতি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সারা দেশের নিম্ন আদালতে আসামিদের আদালতে হাজির না করতে এবং প্রয়োজনে মামলার কার্যক্রম মুলতবি করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। আদালত প্রাঙ্গণ লোকসমাগম কমাতে এ নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।