# আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে চালিয়ে যাচ্ছে এসব অপকর্ম
# যে কোন সময় দেশ ছেড়ে পালাতে পারে হাসিব: শঙ্কায় ভুক্তভোগিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: সবারই বন্ধু আছে, বন্ধু মানে একে অপরের পাশে থাকা, বন্ধু মানে পরস্পর পরস্পরের সহযোগিতা এবং সহানুভূতি দেখানো। কিন্তু বন্ধু হয়ে বন্ধুর সাথে এমন প্রতারণা কি কেউ করতে পারে। এমন আপেক্ষ করে বলছিলেন ভোমরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কামরুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, ইছা আমিন আমার ছোট বেলার বন্ধু। তারপরেও সে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। বিদেশে যাওয়ার আগে এক সময় তার স্ত্রী, ছেলেসহ পরিবারের লোকজন আমার কাছে এসে টাকার জন্য কান্নাকাটি করতো। সে আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য অনেক টাকা নিয়ে ঢাকা থেকে শুধু মেডিকেল রিপোর্ট করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রথমে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিই এবং পরে আরো ৫০ হাজার টাকা নেয়। শুধু কামরুল ইসলাম নয়, এমন অভিযোগ জেলার একাধিক পরিবারের।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৃত আলী সরদারের ছেলে জামাল হোসেন জানায়, ইছা আমিন আমার ছোট বেলার বন্ধু আমরা একসাথে বড় হয়েছি। বর্তমানে আমি ভাড়া মটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। আমি বেশ কয়েক বছর আগে পরিবার নিয়ে ঢাকা আশুলিয়ায় বসবাস করতাম। ঐ সময় ইঠাৎ একদিন ইছা আমিন আমাকে ফোনে বলে আমি খুব বিপদে পড়েছি, তোমার সাথে দেখা করবো। আমি ইছা আমিনের সাথে দেখা করতেই ইছা আমিন আমাকে বলে সে সাতক্ষীরাতে থাকতে পারছেনা। কেনো সাতক্ষীরা থাকতে পারছেনা জানতে চাইলে ইছা আমিন বলে, অনেক লোক টাকা পাবে, তাই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। তুমি আমাকে একটু আশ্রয় দাও, আমার কাছে টাকা আছে, আমার খরচ আমি চালিয়ে নিতে পারবো। তখন আমি আশুলিয়ায় ভাড়া বাড়িতে ইছা আমিনকে নিয়ে আসি। কয়েক দিন পর ইছা আমিনের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা আমার বাড়িতে আসে। ইছা আমিন ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার ভাড়া বাড়িতে বেশ কয়েক মাস বসবাস করে। তারপর আমার বাসা থেকে পরিবারসহ গুলিস্তান এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ওঠে। কয়েক মাস পর সেখান থেকে ইছা আমিন লিবিয়ার চলে যায়। লিবিয়ায় গিয়ে আমাকে ফোন দিতো। বলতো দেশে থেকে কি হবে, তুমি লিবিয়ায় চলে এসো, আমরা দুজন লিবিয়া থেকে ইতালি চলে যাবো। তখন আমি রাজি হইনি, ততদিন ইছা আমিন ইতালি চলে গেছে। ইতালি গিয়ে আবার আমাকে যাওয়ার জন্য বলে। একপর্যায়ে আমি রাজি হলে ইছা আমিন বলে, তুমি আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলে তোমার বেশি টাকা লাগবে না। কাগজপত্র রেডি করতে প্রথমে কিছু খরচ আছে আপাতত সেই টাকাটাই দিও। বাকি টাকা ইতালি এসে কাজ করে পরিশোধ করবে। আমি সমিতি থেকে লোন নিয়ে সুদ করে এবং পরিবারের গহনা বিক্রি করে ইছা আমিন কে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিই। টাকা দেওয়ার কয়েক দিন পর থেকে ইছা আমিন আমার সাথে তালবাহানা শুরু করে। আমি ফোন দিলে রিসিভ করে না। উপায় না পেয়ে আমার মা দেবহাটা উপজেলার শাঁখরায় ইছা আমিনের বাড়ি ও তার শশুর বাড়ি সখিপুরে গিয়ে ৫-১০ হাজার করে টাকা নিয়ে ৭/৮ বছর ধরে টাকা আদায় করেছি। তারপরও আমার পাসপোর্টটি ইছা আমিন আটকে রেখেছে। এবিষয়ে ইছা আমিনের আরেক জন বাল্যবন্ধু কামরুল ইসলাম জানায়, ইছা আমিন আমার বাল্য বন্ধু কিন্তু সে আমার সাথে যা করেছে কোন বন্ধু কারো সাথে এধরনের বাটপারি করতে পারে আমার জানা ছিল না। আমি একটি ছোট চাকরী করি। অভাব অনটনের সংসার। ইছা আমিন আমাকে ফোন করে বলে বন্ধু তোমার ছেলে আশিককে আমার সাথে ইতালি পাঠিয়ে দাও। সেখানে আমাদের কোম্পানিতে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেব। কত টাকা খরচ হবে বলতেই ইছা আমিন বলে আপাতত ৩ লক্ষ টাকা দিও, বাকি টাকা ইতালি এসে তোমার ছেলে কাজ করে পরিশোধ করতে পারবে, সেটা নিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে না। তখন আমি ইছা আমিন কে বলি আমি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিতে পারবো। ইছা আমিন আমাকে বলে ঠিক আছে। কিছু দিন পর ইছা আমিন সাতক্ষীরা এসে আমার বাড়ি থেকে নগত ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। টাকা নেয়ার পর থেকে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা শুরু করে। আরও ৫০ হাজার টাকা আমার ছেলের কাছে থেকে নেয়। আজ না কাল, এ মাসে না সামনের মাসে -এভাবে দুই বছর আমাকে ঘুরাচ্ছে। এক সময় আমি বুঝতে পারি ইছা আমিন আমার ছেলে কে ইতালি নিয়ে যেতে পারবেই না। তখন আমি টাকা ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দিয়ে দিবে বলে জানায় ইছা আমিন। টাকা ফেরত নিতে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করে ফেসবুকেও ব্লক করে রাখে। দেশে তার ছেলে হাসিবের সাথে যোগাযোগ করলে হাসিব বলে ঠিক আছে আমি আব্বার সাথে কথা বলবো। পরে হাসিব আর ফোন ধরে না, এভাবে এখনো চলছে। আজও আমি আমার টাকা আদায় করতে পারিনি। এসব করে ইছা আমিন এখন অনেক টাকার মালিক। আমি ক্ষমতায় তার সাথে পারবো না। আমি প্রতিদিন নামাজ আদায়ের পর আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ তায়াআলা তার বিচার করবে। ভোমরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কামরুল ইসলামের ছেলে আশিক মোস্তফা জানায়, ইছা আমিন আমার বাবার ছোট বেলার বন্ধু। সেই হিসেবে ইছার আমাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। বছর দুয়েক আগে হঠাৎ এক রাতে আমাকে ফোন করে বলে তুমি দ্রুত ঢাকা চলে এসো। ইতালি যাওয়ার জন্য তোমার মেডিকেল করতে হবে। তোমার বাবার সাথে আমার কথা হয়েছে। তখন আমি বিনেরপোতা ধান গবেষণা কেন্দ্রের পাশে একটি মুদি দোকান পরিচালনা করি। আমি বাবাকে ফোন দিয়ে ইছা আমিনের বিষয়টি জানাই। বাবা জানায়, তোমার ইতালি যাওয়ার ব্যাপারে ইছা আমিনের সাথে আমার কথা হয়েছে। মেডিকেল করার জন্য তোমাকে ঢাকায় যেতে হবে। বাবা বলে তোমার চাচা ইছা আমিন আমাকে বলেছে প্রথমে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে। বাকি টাকা ওখানে গিয়ে কাজ করে পরিশোধ করতে হবে। আমি পরের দিন মেডিকেল করতে ঢাকায় রওনা হই। সেখানে গিয়ে দেখি ইছা আমিন ও তার ছেলে মো. হাসিব হোসেন আমার জন্য অপেক্ষা করছে। মেডিকেলের কাজ শেষ করে ইছা আমিন ও তার ছেলে হাসিব আমাকে সাতক্ষীরা পাঠিয়ে দেয়। আমি সাতক্ষীরায় ফেরার কয়েক দিন পর ইছা আমিন আমাকে ফোন দিয়ে বলে তোমার মেডিকেল রিপোর্ট ভালো, কোন সমস্যা নেই। আমি তোমাকে আমার সাথে নিয়ে দ্রুত ইতালি চলে যাবো। পরে যোগাযোগ করলে আমার কাছে থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা নেয়। দীর্ঘ দিন হাঁটাহাঁটি পর জানতে পারলাম আমাকে ইতালি নিয়ে যেতে পারবে না। টাকা ফেরত চাইলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ইছা আমিন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে প্রতিনিয়ত চলছে এধরনের প্রতারণা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগি পরিবারগুলো জেলা পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আদম পাঁচারকারী ইতালি প্রবাসী ইছা আমিন ও তার ছেলে হাসিবের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত ভোমরার একাধিক পরিবার
# আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে চালিয়ে যাচ্ছে এসব অপকর্ম
# যে কোন সময় দেশ ছেড়ে পালাতে পারে হাসিব: শঙ্কায় ভুক্তভোগিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: সবারই বন্ধু আছে, বন্ধু মানে একে অপরের পাশে থাকা, বন্ধু মানে পরস্পর পরস্পরের সহযোগিতা এবং সহানুভূতি দেখানো। কিন্তু বন্ধু হয়ে বন্ধুর সাথে এমন প্রতারণা কি কেউ করতে পারে। এমন আপেক্ষ করে বলছিলেন ভোমরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কামরুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, ইছা আমিন আমার ছোট বেলার বন্ধু। তারপরেও সে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। বিদেশে যাওয়ার আগে এক সময় তার স্ত্রী, ছেলেসহ পরিবারের লোকজন আমার কাছে এসে টাকার জন্য কান্নাকাটি করতো। সে আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য অনেক টাকা নিয়ে ঢাকা থেকে শুধু মেডিকেল রিপোর্ট করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রথমে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিই এবং পরে আরো ৫০ হাজার টাকা নেয়। শুধু কামরুল ইসলাম নয়, এমন অভিযোগ জেলার একাধিক পরিবারের।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৃত আলী সরদারের ছেলে জামাল হোসেন জানায়, ইছা আমিন আমার ছোট বেলার বন্ধু আমরা একসাথে বড় হয়েছি। বর্তমানে আমি ভাড়া মটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। আমি বেশ কয়েক বছর আগে পরিবার নিয়ে ঢাকা আশুলিয়ায় বসবাস করতাম। ঐ সময় ইঠাৎ একদিন ইছা আমিন আমাকে ফোনে বলে আমি খুব বিপদে পড়েছি, তোমার সাথে দেখা করবো। আমি ইছা আমিনের সাথে দেখা করতেই ইছা আমিন আমাকে বলে সে সাতক্ষীরাতে থাকতে পারছেনা। কেনো সাতক্ষীরা থাকতে পারছেনা জানতে চাইলে ইছা আমিন বলে, অনেক লোক টাকা পাবে, তাই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। তুমি আমাকে একটু আশ্রয় দাও, আমার কাছে টাকা আছে, আমার খরচ আমি চালিয়ে নিতে পারবো। তখন আমি আশুলিয়ায় ভাড়া বাড়িতে ইছা আমিনকে নিয়ে আসি। কয়েক দিন পর ইছা আমিনের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা আমার বাড়িতে আসে। ইছা আমিন ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার ভাড়া বাড়িতে বেশ কয়েক মাস বসবাস করে। তারপর আমার বাসা থেকে পরিবারসহ গুলিস্তান এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ওঠে। কয়েক মাস পর সেখান থেকে ইছা আমিন লিবিয়ার চলে যায়। লিবিয়ায় গিয়ে আমাকে ফোন দিতো। বলতো দেশে থেকে কি হবে, তুমি লিবিয়ায় চলে এসো, আমরা দুজন লিবিয়া থেকে ইতালি চলে যাবো। তখন আমি রাজি হইনি, ততদিন ইছা আমিন ইতালি চলে গেছে। ইতালি গিয়ে আবার আমাকে যাওয়ার জন্য বলে। একপর্যায়ে আমি রাজি হলে ইছা আমিন বলে, তুমি আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলে তোমার বেশি টাকা লাগবে না। কাগজপত্র রেডি করতে প্রথমে কিছু খরচ আছে আপাতত সেই টাকাটাই দিও। বাকি টাকা ইতালি এসে কাজ করে পরিশোধ করবে। আমি সমিতি থেকে লোন নিয়ে সুদ করে এবং পরিবারের গহনা বিক্রি করে ইছা আমিন কে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিই। টাকা দেওয়ার কয়েক দিন পর থেকে ইছা আমিন আমার সাথে তালবাহানা শুরু করে। আমি ফোন দিলে রিসিভ করে না। উপায় না পেয়ে আমার মা দেবহাটা উপজেলার শাঁখরায় ইছা আমিনের বাড়ি ও তার শশুর বাড়ি সখিপুরে গিয়ে ৫-১০ হাজার করে টাকা নিয়ে ৭/৮ বছর ধরে টাকা আদায় করেছি। তারপরও আমার পাসপোর্টটি ইছা আমিন আটকে রেখেছে। এবিষয়ে ইছা আমিনের আরেক জন বাল্যবন্ধু কামরুল ইসলাম জানায়, ইছা আমিন আমার বাল্য বন্ধু কিন্তু সে আমার সাথে যা করেছে কোন বন্ধু কারো সাথে এধরনের বাটপারি করতে পারে আমার জানা ছিল না। আমি একটি ছোট চাকরী করি। অভাব অনটনের সংসার। ইছা আমিন আমাকে ফোন করে বলে বন্ধু তোমার ছেলে আশিককে আমার সাথে ইতালি পাঠিয়ে দাও। সেখানে আমাদের কোম্পানিতে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেব। কত টাকা খরচ হবে বলতেই ইছা আমিন বলে আপাতত ৩ লক্ষ টাকা দিও, বাকি টাকা ইতালি এসে তোমার ছেলে কাজ করে পরিশোধ করতে পারবে, সেটা নিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে না। তখন আমি ইছা আমিন কে বলি আমি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিতে পারবো। ইছা আমিন আমাকে বলে ঠিক আছে। কিছু দিন পর ইছা আমিন সাতক্ষীরা এসে আমার বাড়ি থেকে নগত ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। টাকা নেয়ার পর থেকে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা শুরু করে। আরও ৫০ হাজার টাকা আমার ছেলের কাছে থেকে নেয়। আজ না কাল, এ মাসে না সামনের মাসে -এভাবে দুই বছর আমাকে ঘুরাচ্ছে। এক সময় আমি বুঝতে পারি ইছা আমিন আমার ছেলে কে ইতালি নিয়ে যেতে পারবেই না। তখন আমি টাকা ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দিয়ে দিবে বলে জানায় ইছা আমিন। টাকা ফেরত নিতে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করে ফেসবুকেও ব্লক করে রাখে। দেশে তার ছেলে হাসিবের সাথে যোগাযোগ করলে হাসিব বলে ঠিক আছে আমি আব্বার সাথে কথা বলবো। পরে হাসিব আর ফোন ধরে না, এভাবে এখনো চলছে। আজও আমি আমার টাকা আদায় করতে পারিনি। এসব করে ইছা আমিন এখন অনেক টাকার মালিক। আমি ক্ষমতায় তার সাথে পারবো না। আমি প্রতিদিন নামাজ আদায়ের পর আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ তায়াআলা তার বিচার করবে। ভোমরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কামরুল ইসলামের ছেলে আশিক মোস্তফা জানায়, ইছা আমিন আমার বাবার ছোট বেলার বন্ধু। সেই হিসেবে ইছার আমাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। বছর দুয়েক আগে হঠাৎ এক রাতে আমাকে ফোন করে বলে তুমি দ্রুত ঢাকা চলে এসো। ইতালি যাওয়ার জন্য তোমার মেডিকেল করতে হবে। তোমার বাবার সাথে আমার কথা হয়েছে। তখন আমি বিনেরপোতা ধান গবেষণা কেন্দ্রের পাশে একটি মুদি দোকান পরিচালনা করি। আমি বাবাকে ফোন দিয়ে ইছা আমিনের বিষয়টি জানাই। বাবা জানায়, তোমার ইতালি যাওয়ার ব্যাপারে ইছা আমিনের সাথে আমার কথা হয়েছে। মেডিকেল করার জন্য তোমাকে ঢাকায় যেতে হবে। বাবা বলে তোমার চাচা ইছা আমিন আমাকে বলেছে প্রথমে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে। বাকি টাকা ওখানে গিয়ে কাজ করে পরিশোধ করতে হবে। আমি পরের দিন মেডিকেল করতে ঢাকায় রওনা হই। সেখানে গিয়ে দেখি ইছা আমিন ও তার ছেলে মো. হাসিব হোসেন আমার জন্য অপেক্ষা করছে। মেডিকেলের কাজ শেষ করে ইছা আমিন ও তার ছেলে হাসিব আমাকে সাতক্ষীরা পাঠিয়ে দেয়। আমি সাতক্ষীরায় ফেরার কয়েক দিন পর ইছা আমিন আমাকে ফোন দিয়ে বলে তোমার মেডিকেল রিপোর্ট ভালো, কোন সমস্যা নেই। আমি তোমাকে আমার সাথে নিয়ে দ্রুত ইতালি চলে যাবো। পরে যোগাযোগ করলে আমার কাছে থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা নেয়। দীর্ঘ দিন হাঁটাহাঁটি পর জানতে পারলাম আমাকে ইতালি নিয়ে যেতে পারবে না। টাকা ফেরত চাইলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ইছা আমিন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে প্রতিনিয়ত চলছে এধরনের প্রতারণা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগি পরিবারগুলো জেলা পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।