
লিটন ঘোষ বাপি: করোনার দুঃসময়ে গরীব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের সেবায় রাত-দিন বিরামহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আল ফেরদাউস আলফা।
সারাবিশ্ব যখন করোনা আতঙ্কে এই প্রানঘাতি ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরণ লড়াই করে যাচ্ছেন, দিশেহারা হয়ে গেছে অসংখ্য কর্মহীন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ গুলো তখনি সাধারন মানুষ হয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে যুদ্ধ করে অসহায়
কর্মহীন অসচ্ছল মানুষের মাঝে খাদ্রসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। কখনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী চাল,ডাল,নগদ অর্থ দিতে ছুটে যাচ্ছেন মানুষের দারে দারে। আবার কখনো ব্যক্তি অর্থায়নে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌছে যাচ্ছেন মানুষের বাড়ীতে বাড়ীতে।
জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বছর জুড়ে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে বিভিন্ন সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রকল্প বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি ব্যাক্তিগত উদ্যোগ ও অর্থায়নে রাতদিন মানবসেবা করে যাচ্ছেন তিনি।
এতে করে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত অসহায় মানুষের কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবেও বেশ সুনাম অর্জন করে চলেছেন আলফা। মসজিদ, মন্দির, মাদরাসা ও এতিমখানা গুলোতে অর্থসহায়তার পরিমান ও পরিধি দুটোই ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে তার মাধ্যমে। এছাড়া ব্যাক্তিগত অর্থে দেবহাটার অসংখ্য মানুষের সেমিপাকা বাসগৃহ নির্মান করে দিয়েছেন আলফা।
পাশাপাশি প্রতিনিয়ত অসহায়, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী মানুষদের সাধ্যমতো ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ সহায়তাও করছেন তিনি। তাছাড়া মহামারী করোনাকালীন পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষদের খাদ্যসামগ্রী, নগদ অর্থ সহায়তা, করোনাক্রান্তদের বিনামুল্যে চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহের পাশাপাশি অসুস্থদের ঘরে ঘরে ফ্রি অক্সিজেন সেবাও পৌঁছে দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদাউস আলফা।
মঙ্গলবার দেবহাটার বিভিন্ন ইউনিয়নে করোনাক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন এমন মানুষদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিনামুল্যে অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার বিতরণ করেন তিনি। তাছাড়া পারুলিয়াতে দূর্দশাগ্রস্ত ছয়টি পরিবারের জরাজীর্ণ কুঁড়েঘর ব্যাক্তিগত অর্থায়নে মেরামত করে দিয়েছেন তিনি।
পারুলিয়া কদবেলতলা সংলগ্ন এলাকার শাহাজুল নিকারীর স্ত্রী সাহিদা খাতুন, আলী হোসেনের স্ত্রী মাহফুজা খাতুন, বাসতুল্যাহ নিকারীর ছেলে মানিক নিকারী, জবেদ আলী মাঝির ছেলে নুরুজ্জামান নিকারী, মৃত কাজ্জেল নিকারীর ছেলে কামরুল নিকারী ও ইসমাইল নিকারীর ছেলে এবাদুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতোপূর্বে সাপমারা খালপাড়ে বসবাস করতাম। কিন্তু খাল খননকালে উচ্ছেদ অভিযানে আমরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়ি। ফলে বেঁচে থাকার তাগিদে বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে পারুলিয়া জলিল হ্যাচারীর সীমানা প্রাচিরের গায়ে মাটির বেড়া ও খড়ের ছাউনি বিশিষ্ট ঝুপড়িতে পরিবার-পরিজন ও সন্তানাদি নিয়ে বসবাস শুরু করি। সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে সীমাহীন দূর্ভোগ দূর্দশায় আমাদের দিন কাটছিল। মুষলধারে বৃষ্টি হলেই খড়ের চাল দিয়ে হু হু করে ঘরের ভিতরে পানি ঢুকতে থাকে। ফলে সন্তানাদি, বিছানাপত্র ও শুকনো কাপড় বুকে আকড়ে নিদ্রাহীন রাত কাটে আমাদের। সীমাহীন দূর্ভোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা বিত্তবানরা এগিয়ে না এলেও, জেলা পরিষদ সদস্য আলফা ভাই নিজের টাকায় টিন কিনে এবং শ্রমিক পাঠিয়ে আমাদের ঘরগুলো মেরামত করে দিয়েছেন। এতে করে মানবিক আল ফেরদাউস আলফাথর কাছে চির কৃতজ্ঞ বলেও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তারা।
আলফা বলেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে মহামারীর এই সংকটময় সময়েও আমি সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। সরকারী বরাদ্দের পাশাপাশি নিজের ব্যাক্তিগত অর্থ দিয়ে আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন ও মানবসেবা করে যাচ্ছি।